দ্য গ্র্যান্ড ডিজাইন
লেখক: স্টিফেন হকিং, আবুল বাসার, লিওনার্ড ম্লোডিনো (অনুবাদক)
বিষয়: বিজ্ঞান, বইমেলা ২০২৪
মহাবিশ্বের নিয়মকানুন সূক্ষ্মভাবে সমন্বয় করা। তা এতই সূক্ষ্ম যে একে বলা চলে শ্রেষ্ঠ নকশা বা গ্র্যান্ড ডিজাইন। কিন্তু এ ডিজাইনের অর্থ কী? তা কি আমাদের মতো জীবসত্তার অস্তিত্বের প্রয়োজনে? নাকি রয়েছে অন্য কোনো কারণ? এসব জিজ্ঞাসা ও রহস্যের ব্যাখ্যা আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে দিয়েছেন তাত্ত্বিক পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং এবং লিওনার্ড ম্লোডিনো।
বইয়ের বিবরণ
প্রায় প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে মানবজাতি প্রশ্ন করে আসছে—মহাবিশ্বের সূচনা হলো কীভাবে? আমরা এখানে কেন? প্রাকৃতিক নিয়মকানুন এত সূক্ষ্মভাবে সমন্বয় করা কেন? মহাবিশ্বের এই শ্রেষ্ঠ নকশা বা গ্র্যান্ড ডিজাইনের অর্থ কী? সেটা কি আমাদের মতো জীবসত্তার অস্তিত্বের প্রয়োজনে? নাকি পেছনে রয়েছে অন্য কোনো কারণ? মহাবিশ্বের জন্ম ও এ-সংক্রান্ত অন্যান্য প্রশ্ন ও রহস্যের জবাব পেতে মানুষ একসময় আশ্রয় খুঁজেছে দর্শনের কাছে। এখন এসব প্রশ্নের ব্যাখ্যা দেয় বিজ্ঞান। এই বইয়ে তাত্ত্বিক পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং এবং লিওনার্ড ম্লোডিনো সেসব জিজ্ঞাসা ও রহস্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে। ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন কোয়ান্টাম তত্ত্ব, আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এবং হালের বহুল আলোচিত এম-থিওরির ভিত্তিতে। তা বর্ণনা করেছেন সাধারণ পাঠকের উপযোগী সহজ-সরল ভাষায়। হকিংয়ের অন্যতম জনপ্রিয় বইটি একসময় ছিল আমাজন বেস্টসেলারের তালিকায়। গভীর ভাবনায় সমৃদ্ধ, আকারে সংক্ষিপ্ত এ বই নতুন ভাবনা উসকে দেবে
- শিরোনাম দ্য গ্র্যান্ড ডিজাইন
- লেখক স্টিফেন হকিং, আবুল বাসার, লিওনার্ড ম্লোডিনো (অনুবাদক)
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৮৩৫০৪২
- প্রকাশের সাল ২০২৪
- মুদ্রণ 1st published
- বাঁধাই হার্ডকভার
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৬০
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
স্টিফেন হকিং
জন্ম ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডে। বিজ্ঞানে আবিষ্কারের নতুন দিগন্ত যেমন তিনি খুলে দিয়েছেন, তেমনি জটিল বিষয়গুলো সাধারণ পাঠকদের কাছে সহজ ভাষায় তুলে ধরেছেন জনপ্রিয় ধারার বই লিখে। সেখানেও সফলতার প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম বইটি প্রকাশের পর। লন্ডন সানডে টাইমস-এ এটি টানা ২৩৭ সপ্তাহ বেস্ট সেলার তালিকায় থেকেছে। তিনি বিজ্ঞান নিয়ে লিখেছেন আরও কিছু বই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সময়েই হকিংয়ের দুরারোগ্য মোটর নিউরন রোগ ধরা পড়ে। সেসময় চিকিৎসকেরা তাঁর আয়ু মাত্র দু’বছর বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু অদম্য মানসিক শক্তির জোরে তিনি পড়ালেখা ও গবেষণা চালিয়ে যান। দৈহিক অক্ষমতা জয় করে একসময় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের লুকাসিয়ান অধ্যাপক হিসেবে টানা ৩০ বছর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৪ সালে তাঁকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। নাম দ্য থিওরি অব এভরিথিং।
আবুল বাসার
জন্ম ১৯৭৭, পাবনায়। পড়ালেখা শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। পেশা সাংবাদিকতা। একসময় মাসিক কিশোর আলো সম্পাদনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন দেশের জনপ্রিয় বিজ্ঞানবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে। এর পাশাপাশি বিজ্ঞানবিষয়ক বেশ কিছু মৌলিক বই লিখেছেন। অনুবাদও করেছেন বিশ্বসেরা কয়েকটি বিজ্ঞানের বইয়ের। ইতিমধ্যে তাত্ত্বিক পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংয়ের ছয়টি বই অনুবাদ করেছেন। এর পাঁচটিই প্রকাশ করেছে প্রথমা প্রকাশন। বইগুলো হলো : দ্য থিওরি অব এভরিথিং, মাই ব্রিফ হিস্ট্রি, ব্রিফ আনসারস টু দ্য বিগ কোয়েশ্চেনস (বড় প্রশ্ন, ছোট উত্তর), দ্য ইউনিভার্স ইন আ নাটশেল এবং ব্ল্যাকহোল। অনুবাদ করেছেন পদার্থবিদ মিচিও কাকুর লেখা বেস্টসেলার বই ফিজিকস অব দ্য ইমপসিবল, প্যারালাল ওয়ার্ল্ডস এবং দ্য গড ইকুয়েশন। জ্যোতিঃপদার্থবিদ নীল ডিগ্র্যাস টাইসনের অনূদিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাস্ট্রোফিজিকস: সহজ পাঠ। বইগুলো ব্যাপক পাঠক সমাদৃত।