বইয়ের বিবরণ
সরদার ফজলুল করিমের পৃথিবী ছিল নিরন্তর অনুসন্ধানের। বিপুল বিচিত্র জীবনাভিজ্ঞতা আর অধ্যয়নের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে তাঁর জীবন। ফলে দিনপঞ্জিতে লেখা নিত্যদিনের খুব সাধারণ ঘটনার মধ্যেও জীবন-জগৎ আর ইতিহাস সম্পর্কে তাঁর গভীর বোধের পরিচয় পাওয়া যায়। সরদার ফজলুল করিমের দার্শনিক মন সারাক্ষণ জীবন ও জগৎ সম্পর্কে নানা জটিল জিজ্ঞাসার উত্তর খুঁজে ফিরেছে। আপন জীবন এবং সমকালীন ইতিহাসকে পরিপ্রেক্ষিতে রেখে তিনি দেশ ও সমাজকে উপলব্ধির প্রয়াস করেছেন। সমস্যা আর সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করেছেন। আবার জীবন বলতেও জীবনের বহুমাত্রিক দিক উঠে এসেছে তাঁর এসব ভাবনালিপিতে। আমার পৃথিবী বইয়ে তাঁর লেখাগুলো ডায়েরি-আশ্রিত। সেগুলোকে দর্শন, সমাজ, রাজনীতি, দেশ, জীবন, সাহিত্য—এভাবে পর্ববিন্যস্ত করে তুলে ধরা হয়েছে। সাহিত্য অংশে স্থান পেয়েছে বই ও লেখক নিয়ে তাঁর পাঠানুভূতি। সরদার ফজলুল করিমের চিন্তাজগৎকে বুঝতে বিশেষ সহায়ক হবে বইটি।
- শিরোনাম আমার পৃথিবী: দর্শন, সমাজ, রাজনীতি
- লেখক সরদার ফজলুল করিম
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৮০৬২৭১
- প্রকাশের সাল ২০২৪
- মুদ্রণ 1st published
- বাঁধাই হার্ডকভার
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ২০০
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

সরদার ফজলুল করিম
জন্ম ১ মে ১৯২৫, বরিশালের এক কৃষক পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৫ সালে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স ও ১৯৪৬ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ। ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্রে শিক্ষকতা। ছাত্রজীবন থেকেই শোষণমুক্ত মানবতাবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে আন্দোলন-সংগ্রামে জড়িত ছিলেন। ১৯৫৪ সালে জেল থেকেই পাকিস্তান আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩-৭১ সাল পর্যন্ত পালন করেন বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগের মুখ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস কারাগারে কাটান। ১৯৭২-৮৫ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। জাতীয় অধ্যাপকের মর্যাদায় ভূষিত। উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ও সম্মাননা: বাংলা একাডেমি ও স্বাধীনতা পুরস্কার। তাঁর আত্মজীবনী ও অন্যান্য বইটি প্রকাশ করেছে প্রথমা। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য অনূদিত ও মৌলিক গ্রন্থ প্লেটোর রিপাবলিক, রুশোর সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট, দর্শনকোষ, নানা কথার পরের কথা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ: অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক-এর আলাপচারিতা, রুমীর আম্মা ও অন্যান্য প্রবন্ধ। মৃত্যু ১৫ জুন ২০১৪।