ব্যাকরণের সম্পূর্ণ নতুন দুটি তত্ত্ব অনুসরণে রচিত হয়েছে বাংলা ভাষার প্রথম অ-সংস্কৃত ব্যাকরণ: বাংলা ব্যাকরণের রূপরেখা। কীভাবে বাংলা শব্দ গঠিত হয় এবং কীভাবে বাংলা শব্দ ও বাক্য উচ্চারিত হয়, তার একটি আপাত-সম্পূর্ণ বর্ণনা পাওয়া যাবে এই ব্যাকরণে। ছাত্র-শিক্ষক-গবেষক-অনুসন্ধিৎসু পাঠক—বাংলা ভাষার নিয়ম জানতে যাঁরাই আগ্রহী, আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রচিত এই ব্যাকরণ তাঁদের সবার প্রয়োজন মেটাবে।
বইয়ের বিবরণ
গত শ দুয়েক বছরে বাংলা অঞ্চলে যত স্কুলপাঠ্য ও কমবেশি গবেষণামূলক ব্যাকরণ রচিত হয়েছে, তার বেশির ভাগ পাণিনির সংস্কৃত ব্যাকরণের আদলে রচিত। এসব ব্যাকরণে বাংলা ব্যাকরণের সত্যিকার রূপ কতটা ফুটে উঠেছে, তা আলোচনাসাপেক্ষ। বাংলা ব্যাকরণের রূপরেখা প্রমিত বাংলা ভাষার বিজ্ঞানসম্মত ব্যাকরণ, কারণ ধ্বনিতত্ত্ব ও রূপতত্ত্বের দুটি বিশেষ মডেল অনুসরণ করে এই ব্যাকরণ রচিত হয়েছে। বহু যুগ ধরে প্রচলিত স্কুলপাঠ্য বাংলা ব্যাকরণের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়: উপসর্গ-প্রত্যয়, সন্ধি, সমাস, দ্বিরুক্ত শব্দ এ বইয়ের মূল আলোচনা থেকে বাদ পড়েছে। এই বিষয়গুলো আলাদা করে আলোচনা না করেও যে বাংলা ভাষার বর্ণনা দেওয়া সম্ভব—এ বই তার প্রমাণ। বাংলা ব্যাকরণের রূপরেখা সংস্কৃত ভাষার ব্যাকরণ-কাঠামোর প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। এটি সম্ভবত বাংলা ভাষার প্রথম ‘অ-সংস্কৃত’ ব্যাকরণ।
- শিরোনাম বাংলা ব্যাকরণের রূপরেখা
- লেখক শিশির ভট্টাচার্য্য
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯১৭৬৪৯৭
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
শিশির ভট্টাচার্য্য
জন্ম ৪ আগস্ট, ১৯৬৩, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার কুমিরা গ্রামে। ভাষাবিজ্ঞানে পিএইচডি (২০০৭) করেছেন কানাডার মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্যারিসের সর্বোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাবিজ্ঞানে এমফিল (১৯৯৫) ও এমএ (১৯৯৪) এবং ইন্ডোলজিতে এমএ (১৯৮৮) করেছেন। পোস্টডক্টরেট গবেষণা করেছেন টোকিওর রাষ্ট্রভাষা ইনস্টিটিউটে (২০০৮-১০)। ভাষা ও ব্যাকরণ বিষয়ে দেশি ও বিদেশি জার্নালে প্রায় ৪০টি প্রবন্ধ বেরিয়েছে। বইয়ের মধ্যে রয়েছে সঞ্জননী ব্যাকরণ (১৯৯৮), অন্তরঙ্গ ব্যাকরণ (২০১৩), জার্মানি থেকে প্রকাশিত Word Formation in Bengali : A Whole Word Morphological Description and its Theoretical Implications (২০০৭), Basics of Language and Linguistics in a 100 question (২০১৬), বাংলা ভাষা: প্রকৃত সমস্যা ও পেশাদারি সমাধান (২০১৬), বাংলা ব্যাকরণের রূপরেখা (২০১৬)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও পরিচালক।