বইয়ের বিবরণ

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

এই লেখকের আরও বই
এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
৫(১)
  • (১)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন

Mohima Begum

০৫ Feb, ২০২৩ - ৫:২৮ PM

মুনির হাসান স্যারের বুয়েট জীবনের স্মৃতিচারণমূলক বই "পড়ো পড়ো পড়ো" বই:-"পড়ো পড়ো পড়ো" লেখক:- মুনির হাসান প্রকাশক:আর্দশ বইটির নাম দেখে প্রথমে ভেবেছি, এটি একটি মনে হয় কোন মোটিভেশনাল বই হবে, এই কি কি বই আমাদের অবশ্যই পাঠ্য।—“পড়ো,পড়ো,পড়ো।” বইটি পড়ে দেখি এটি মুনির হাসান স্যারের জীবন আখ্যান, যেখানে তিনি তার যাপিত জীবনের সাথে ছুটে চলা সময়ের আলেখ্য ও লিপিবদ্ধ করেছেন, সুনিপুণ মুন্সিয়ানায়। যেখানে ছাত্রজীবনের ঘটা নানান ঘটনার পাশাপাশি আমাদের সামনে দৃশ্যায়ন করেন সে টালমাটাল সময়ে দেশের আর্থসামাজিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।বইটিতে লেখক আশির দশকের স্মৃতিচারণ করেছেন।বেশিরভাগ সময় তাঁর ছাত্রজীবনে কিভাবে বই সংগ্রহ ও পড়তেন সেটির কথা বলেছেন।তিনি তুলে ধরেছেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সদস্য হওয়ার গল্প। কখনো নাশতার টাকা বাঁচিয়ে,কখনো রিকশার খরচ বাঁচিয়ে নিজের অদম্য ইচ্ছে লালন করেছেন। “পড়ো পড়ো পড়ো” তে মূলত মুনির হাসান স্যার জীবনের একটি অংশের উপর আলোকপাত করেছেন। যেটি হচ্ছে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের রোমাঞ্চকর জীবন। উত্তপ্ত দিনগুলোতে মিছিলের যে রোমাঞ্চকর বর্ণনা তিনি দিয়েছেন,হল জীবনের যে চিত্র তুলে ধরেছেন,এগুলোর সাথে প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিল খুঁজে পাবেন। স্বৈরাচারী এরশাদের শাসন ও তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের মাধ্যমে এরশাদের পতন,তৈরী পোশাক শিল্পের উত্থান এবং বেসরকারি ব্যাংকের নবযাত্রা, সর্বোপরি আশির দশকের ক্রান্তিকালীন সময়ের বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে এই বইটিতে। বইয়ের নাম দেখে যা মনে হয়ে ছিল তা পাই পরিশিষ্টেঃ বইয়ের শেষাংশে ‘যা পড়তে পারেন’ শিরোনামের অংশে মুনির হাসান স্যার লিখেছেন— “পড়ার সময় মনে কোন খেদ রাখা যাবে না।যা পাওয়া যাবে, সবই পড়তে হবে।প্রতিদিন অন্তত একটা দৈনিক পত্রিকা পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।প্রথম আলোয় শব্দজট এবং সুডোকু মেলানোর খেলা থাকে,সেগুলোতেও অভ্যস্ত হওয়া যায়। শব্দজট আর সুডোকু ঠান্ডা মাথায় সমস্যা সমাধানে অভ্যস্ত করে তুলবে।”তবে এই বই কয়েকবার পাঠ করে আমার মনে হয়েছে, এই বই বর্তমান এই অস্হির সময়ে প্যারেন্টিং জন্য আরও প্রাসঙ্গিক। আমরা দেখি যত যা কিছু হোক লেখক একটা নিদিষ্ট সময় পড়াশোনায় ব্যয় করেন, সেটা একাডেমিক বা অন্য পছন্দের বই, যা তৈরি হয়েছে, শৈশবে যৌথ পারিবারিক পঠন আবহে,যা এই সময়ে বিরল।একক পরিবার, প্রচন্ড ব্যস্ত বাবা-মা, অবসর সময়ে গ্যাজেট আসক্তি, কাজের মাসির কাছে বড় হয়ে মা বাবার পূরণ না স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রাইভেট টিউটরের কাছে ছোটাছুটি কি করছি আমরা,গ্রামে কি শহরে। এই বই আমাদের অনেক অসহায় প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যায়। #মুনিরহাসান স্যার #প্রথমাডটকম_কথাপ্রকাশ_বই_রিভিউ প্রতিযোগিতা