শাসনব্যবস্থা হিসেবে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের ব্যর্থতা আজ প্রতিষ্ঠিত সত্য। সে তুলনায় একদলীয় বা একনায়কতান্ত্রিক শাসন ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। কী কারণে গণতন্ত্র ব্যর্থ হচ্ছে, তার উত্তর খুঁজতে বিশেষভাবে সহায়ক হবে এই বই। গণতন্ত্রের সংজ্ঞা, গণতন্ত্রকে ঘিরে নানা তাত্ত্বিক বিতর্ক এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ বইটির গুরুত্ব বাড়িয়েছে। আজকের গণতন্ত্র-ভাবনায় বইটিকে একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রচেষ্টা বলা যায়।
বইয়ের বিবরণ
১৯৯১ সালে সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসানের পর বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের জোয়ার নামে। কিন্তু যে আশা নিয়ে বিভিন্ন দেশ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ব্রতী হয়েছিল, তা সফল হয়নি। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সব দেশই ভুগছে কোনো না কোনো সমস্যায়। দুর্নীতি, অর্থনৈতিক উন্নয়নে অচলায়তন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দায়িত্বহীনতা, আইনের শাসনে ঘাটতি এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে শাসকগোষ্ঠীর গড়িমসি তারই নানা দিক। এই প্রবণতাগুলো আমাদের দেশীয় গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে আর চারটি দেশের মতোই সত্য। বৈশ্বিক এই প্রবণতার গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ স্থান পেয়েছে বদরুল আলম খানের গণতন্ত্রের বিশ্বরূপ ও বাংলাদেশ বইয়ে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ কেন জটিল, সে আলোচনায় দাবি করা হয়েছে যে গণতন্ত্রকে কেবল নির্বাচনী প্রক্রিয়া হিসেবে দেখা ভুল হবে। তার সঙ্গে আরও যুক্ত করতে হবে জাতীয় ঐক্যের প্রশ্ন, আধুনিকায়নের প্রশ্ন, উদারনীতি বিকাশের প্রশ্নগুলো।
- শিরোনাম গণতন্ত্রের বিশ্বরূপ ও বাংলাদেশ
- লেখক বদরুল আলম খান
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯২৪০৩০৩
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
বদরুল আলম খান
জন্ম ১৯৫২ সালে, যশোরে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে এমএ এবং মস্কো রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজতত্ত্বে পিএইচডি। ছাত্রজীবনে প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগে যোগ দেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন ১৯৮৮ সালে। ১৯৯৪ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যাপনা করছেন। পড়িয়েছেন ম্যাকোয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন অধ্যাপক। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: সংঘাতময় বাংলাদেশ: অতীত থেকে বর্তমান, মাও সেতুং—চীনের দুঃখ, পুঁজিবাদের সমাজতত্ত্ব (সম্পাদিত), সমাজতত্ত্ব: সংকট ও সম্ভাবনার দেড় শ বছর, দর্শনের সংকট, তৃতীয় বিশ্ব, ধর্ম ও সমাজ বিপ্লব প্রভৃতি।