বইয়ের বিবরণ
প্রথম জীবনে কথাসাহিত্য ছিল আবুল ফজলের বিশেষ ক্ষেত্র। তখন তিনি মূলত চিত্রকর। বাঙালি মুসলমান সমাজের যে-ছবি তিনি তখন এঁকেছিলেন, তা রবীন্দ্রনাথের প্রশংসা অর্জন করেছিল। বস্তুত নিজের সমাজের কুসংস্কার ও ধর্মান্ধ সংকীর্ণতা ও হৃদয়হীনতার যে-অভিব্যক্তি আছে তাঁর গল্পে ও উপন্যাসে, তা এগুলিকে সামাজিক দলিল হিসেবেও আদরণীয় করেছে। অবশ্য সব লেখায় যে তিনি সমাজ-সমালোচনা করেছেন তা নয়। মানুষের চিরন্তন প্রবৃত্তি ও দ্বন্দ্বসংঘাতের কথাও মনোহররূপে উপস্থাপিত হয়েছে এসব লেখায়। উত্তরজীবনে আবুল ফজল নিজেকে প্রকাশ করেছেন প্রবন্ধসাহিত্যে। এ পর্যায়ে তিনি মুখ্যত চিন্তাবিদ। সমাজ ও সংস্কৃতি, ধর্ম ও রাজনীতি, সাহিত্য ও শিক্ষার নানা দিক সম্পর্কে তাঁর গভীর চিন্তা ও প্রগাঢ় অনুভূতির পরিচয় আছে সেসব লেখায়। তাঁর বক্তব্যে শাসকগোষ্ঠীর ভ্রূ-কুঞ্চিত হলেও আবুল ফজল ছিলেন অদম্য। তাই তিনি শেষ পর্যন্ত পরিগণিত হয়েছেন একাধারে শিল্পী ও মানবিক মূল্যবোধের ধারক বলে, কাছের মানুষ ও সমকালীন দেশকালের একজন পথপ্রদর্শক হিসেবে।
- শিরোনাম মানবতন্ত্রী আবুল ফজল : শতবার্ষিক স্মারকগ্রন্থ
- লেখক আনিসুজ্জামান
- প্রকাশক সময় প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৮৪৭০১১৪০১১৬০
- প্রকাশের সাল ২০০৯
- মুদ্রণ 1st published
- বাঁধাই হার্ডকভার
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ৫৭৬
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

আনিসুজ্জামান
জন্ম ১৯৩৭ সালে, কলকাতায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় বি এ অনার্স, এম এ এবং পিএইচ ডি ডিগ্রি লাভ করেছেন। গবেষণা করেছেন শিকাগো ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে, যুক্ত ছিলেন জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা-প্রকল্পে। শিক্ষকতা করেছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্যারিস, নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং ফেলো ছিলেন, বিশ্বভারতীতে ভিজিটিং প্রফেসর। সাহিত্য ও সমাজ সম্পর্কে ইংরেজি ও বাংলায় লিখিত ও সম্পাদিত তাঁর গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে ঢাকা, কলকাতা, লন্ডন ও টোকিও থেকে। বাংলা একাডেমী পুরস্কার ও রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক পেয়েছেন; পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সরোজিনী বসু পদক, এশিয়াটিক সোসাইটির পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্মারক ফলক ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মশতবার্ষিক স্মারক ফলক এবং রবীন্দ্রভারতীর সাম্মানিক ডি লিট্। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন। মৃত্যু ১৪ মে ২০২০।