অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের দশটি লিখিত বক্তৃতার সংকলন এ বই। বিভিন্ন সময়ে স্মারক বক্তৃতা হিসেবে তিনি এ প্রবন্ধগুলো পাঠ করেন। লেখকের যুক্তিনিষ্ঠা, বিচারশীল মন, গভীর সমাজ-মনস্কতা ও প্রখর ইতিহাসবোধের পরিচয় পাওয়া যাবে গ্রন্থভুক্ত রচনাগুলোতে।
বইয়ের বিবরণ
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের দশটি লিখিত বক্তৃতার সংকলন এ বই। বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে বিভিন্ন সময়ে স্মারক বক্তৃতা হিসেবে তিনি এ প্রবন্ধগুলো পাঠ করেন। কখনো নির্দিষ্ট বিষয় আবার কখনো কোনো ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে তাঁর আলোচনা। অষ্টাদশ শতাব্দী অবধি বাংলার মুসলমানের পরিচয়-বৈচিত্র্য, ইব্রাহিম খাঁর স্মৃতিকথায় বিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সমাজের চিত্র কিংবা বাংলাদেশের সংবিধানের বাংলা ভাষ্য যেমন তাঁর বক্তৃতার বিষয় হয়েছে; তেমনি মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, মিসেস এম রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ, শিল্পী মুর্তজা বশীর— এঁদের জীবন ও অবদান নিয়েও তিনি আলোচনা করেছেন। বাদ যায়নি বর্তমান সময় ও সমাজের সংকটচিত্রও। ড. আনিসুজ্জামানের অন্যান্য রচনার মতো এ বক্তৃতাগুলোতেও তাঁর দৃঢ় তথ্যনিষ্ঠা, যুক্তিশীল বিচারপদ্ধতি, নিরাসক্ত মূল্যায়ন এবং প্রখর ইতিহাসবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে রচনাগুলোকে যা উপাদেয় করে তুলেছে তা হলো লেখকের ভাষার স্বচ্ছতা ও পরিমিতিবোধ।
- শিরোনাম সমাজ সংস্কৃতি রাজনীতি : দশটি বক্তৃতা
- লেখক আনিসুজ্জামান
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৫২৫০৫২৮
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

আনিসুজ্জামান
জন্ম ১৯৩৭ সালে, কলকাতায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় বি এ অনার্স, এম এ এবং পিএইচ ডি ডিগ্রি লাভ করেছেন। গবেষণা করেছেন শিকাগো ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে, যুক্ত ছিলেন জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা-প্রকল্পে। শিক্ষকতা করেছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্যারিস, নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং ফেলো ছিলেন, বিশ্বভারতীতে ভিজিটিং প্রফেসর। সাহিত্য ও সমাজ সম্পর্কে ইংরেজি ও বাংলায় লিখিত ও সম্পাদিত তাঁর গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে ঢাকা, কলকাতা, লন্ডন ও টোকিও থেকে। বাংলা একাডেমী পুরস্কার ও রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক পেয়েছেন; পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সরোজিনী বসু পদক, এশিয়াটিক সোসাইটির পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্মারক ফলক ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মশতবার্ষিক স্মারক ফলক এবং রবীন্দ্রভারতীর সাম্মানিক ডি লিট্। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন। মৃত্যু ১৪ মে ২০২০।