বইয়ের বিবরণ

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

আনিসুল হক

জন্ম ৪ মার্চ ১৯৬৫, নীলফামারী। শৈশব ও বাল্যকাল কেটেছে রংপুরে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা, ভ্রমণকাহিনি, শিশুসাহিত্য—সাহিত্যের নানা শাখায় সক্রিয়। প্রথমা থেকে প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সে সময়ের মানুষদের নিয়ে তাঁর লেখা উপন্যাসের ছয়টি পর্ব—‘যারা ভোর এনেছিল’, ‘উষার দুয়ারে’, ‘আলো-আঁধারের যাত্রী’, ‘এই পথে আলো জ্বেলে’, ‘এখানে থেমো না’ ও ‘রক্তে আঁকা ভোর’। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার। তাঁর বই বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত ও প্রকাশিত হয়েছে দেশ-বিদেশে।

এই লেখকের আরও বই
এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
৫(১)
  • (১)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন

User

১১ Mar, ২০২৩ - ২:৩৩ PM

বইঃ সুদূরতমা লেখকঃ আনিসুল হক প্রকাশকঃ প্রথমা প্রকাশন প্রচ্ছদঃ কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম প্রকাশঃ একুশে বইমেলা ২০১০ মুদ্রিত মূল্যঃ ১৫০৳ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৮৮ রেটিংঃ ৯/১০ ❝আপু, তুমি কি আমাকে আকাশ থেকে দেখছ-- নীলের ওপারে থেকে,মেঘের ওপার থেকে, সুদূরতমা কোনো নক্ষত্র থেকে? ❞ ফ্ল্যাপ থেকেঃ- রানুর বিয়ে আগামীকাল কিন্তু বিয়ের আগের দিনে তাদের বাড়িতে কারা এলেন? তবে কি কোনো দুঃসংবাদ! তাহলে কি ভেঙে যাবে এই বিয়ে? বড়বোন শানুর জীবনে যে ঘটনা ঘটেছিল, তারই পুনরাবৃত্তি ঘটবে কি রানুর জীবনে? কাহিনী সংক্ষেপঃ- শানু আর রানু দুই বোন।শানু ছিল বড় বোন। বয়সের পার্থক্য বেশি হওয়ায় শানুর কাছেই মানুষ হয়েছিল রানু।তাদের মা ছিলেন মহিলা কমিশনার এবং বাবা ছিলেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার।তাদের ভাই রিপন ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করতো। সবাই ব্যস্ত থাকায় শানুর কাছেই বড় হয় রানু। কিন্তু সেই সার্বক্ষণিক সঙ্গী শানু আপু একদিন কেন হারিয়ে গিয়েছিল তার জীবন থেকে? পাঠ অভিজ্ঞতাঃ- কথা বলছিলাম লেখক আনিসুল হকের ' সুদূরতমা ' বইটি নিয়ে। লেখক বইটিতে সমাজের ভাঙ্গানি ( তাদের কাজই হলো বিয়ের কথা পাকা হওয়ার পর পাত্রপক্ষ কিংবা পাত্রীপক্ষের কাছে গিয়ে বিপরীত পক্ষের নিন্দা করা) মানুষদের তুলে ধরেছেন। গল্পে দুশ্চরিত্রের একজন লোক ছিল শামীম৷ ঐ শামীমের ক্যামারাটাই শানুর জীবনে কাল হয়ে গিয়েছিল। আর শানু কোনো প্রকার দোষ না থাকা সত্ত্বেও থাকে অপবাদ দিয়েছিল এবং সেও এটা প্রতিবাদ করেনি।পরিবারের সদস্যরা তাকে না বুঝে উল্টো গালিগালাজ করেছে। শানুর উচিৎ ছিল প্রতিবাদ করা কিন্তু সে তা করেনি। আর পরিবারের সদস্যদের ব্যাপার গুলা ভালো করে দেখা উচিৎ ছিল।তাকে বুঝানোর বদলে বিপরীত কাজ করলো। আমার মনে হয় শানুর এভাবে হারিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী তার পরিবার এবং ভাঙ্গানি সমাজ। এমনকি সে নিজেও। তার প্রতিবাদ করা উচিৎ ছিল। শানুর চলে যাওয়ার আগে রানুকে চিঠি লিখে গেছিল। যখন চিঠি টা পড়েছিলাম কেমন চাপা একটা কষ্ট হচ্ছিল! “ তুমি যে ঘুম দিয়েছিলে, সেই ঘুম থেকে আর কোনো দিনও জাগবে না, সেটা বুঝে নিতে খুব কষ্ট হয়েছিল, আপা।” সহজ সাবলীল ভাষায় লেখা চমৎকার একটি বই পড়ে নিন। #প্রথমাডটকম_কথাপ্রকাশ_বই_রিভিউ_প্রতিযোগিতা