অনন্তের কাছে রচনায় বাস্তব ঘটনাগুলো বদলে যেতে যেতে পরাবাস্তবের ইশারা দেয়। কখনো স্মৃতি-পরম্পরায় কাহিনি এগোয়, কখনো স্বপ্নের তরঙ্গে বিকশিত হয় দৃশ্যের পর দৃশ্য । তবে সেসব টুকরো ঘটনায় যেমন আছে বাস্তবের ছায়া, তেমনি কল্পনারও। পরস্পরবিরোধী জিজ্ঞাসায় তারা নতুন পথ দেখায়। তিতলি ও জামি—প্রধান দুই চরিত্র স্বপ্ন ও বাস্তবতার নানা রঙে পরাচৈতন্যে গিয়ে পৌঁছায়। ব্যক্তির মনোজাগতিক যাবতীয় অনিশ্চয়তা দুজনের উচ্ছল কথোপকথনে আবর্তিত হয় । মনোজাগতিকতার সঙ্গে পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে সূক্ষ্ম বিদ্রুপও যুক্ত হয় । তিতলি তার কল্পজগতের দৃশ্যমান ঘটনা বাস্তব মনে করে, যাতে অতীত এবং বর্তমানের সীমারেখা যায় ঘুচে। তাই গল্পবয়নে অনেকাংশে সৃষ্টি হয় পরাবাস্তবতার পরিস্থিতি। আত্মসম্মোহন ও হ্যালুসিনেশনে আক্রান্ত কাহিনিটির শেষে চরিত্রের রূপান্তরক্রিয়ার ব্যাখ্যা আসে । কাহিনিপ্রধান না-হলেও প্রধান দুটি চরিত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাপর ব্যক্তির কথোপকথন ও পরিস্থিতি উপস্থাপনে সাবলীলতা উপন্যাসটিকে দিয়েছে অনিবার্য গতি । ভাষার সারল্য এই রচনার প্রধান গুণ । আফসানা বেগম অনন্তের কাছে উপন্যাসে ব্যক্তির রক্তক্ষরণ-অভিজ্ঞতা রূপময় করেছেন উপভোগ্য গদ্যে।
বইয়ের বিবরণ
- শিরোনাম অনন্তের কাছে
- লেখক আফসানা বেগম
- প্রকাশক কথাপ্রকাশ
- প্রকাশের সাল 2023
- বাঁধাই হার্ডকভার
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।