মান্টো যেন গালিবের পরিণতি। সাদত হাসান মান্টোর লেখা মির্জা গালিব এক অনন্যসাধারণ গল্পকারের
কলমে উর্দু সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবিকে নিয়ে চিত্রনাট্য। সঙ্গে আছে দুজনের জীবন ও জগত্ নিয়ে আলোচনা।
মোগল ভারতের শ্রেষ্ঠতম অর্জন উর্দু-ফারসি কবি মির্জা গালিব (১৭৯৭-১৮৬৯)। ১৮৫৭ সালের ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রত্যক্ষ সাক্ষী তিনি। আর ১৯৪৭ সালের দেশভাগ ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মধ্য দিয়ে ইংরেজ শাসনের অবসানের সাক্ষী সাদত হাসান মান্টো। মির্জা গালিবের একান্ত অনুরক্ত ছিলেন মান্টো। নিজের সমাধিফলক লিখেছেন গালিবের কবিতা দিয়ে। মান্টো গালিবকে নিয়ে একটি সিনেমার কাহিনিও লিখেছিলেন। দাঙ্গাবিক্ষুব্ধ বোম্বেতে সেই ছবি কেউ বানাতে রাজি হয়নি। অনেক পরে তৈরি সেই ছবি বক্স অফিস মাতায়। ঠিক যখন কিনা মান্টো মারা যান কপর্দকশূন্য অবস্থায়। মূল উর্দু থেকে সেই ছবির চিত্রনাট্যের অনুবাদ এই বই। সঙ্গে আছে চিত্রনাট্যের প্রসঙ্গ ধরে ব্যক্তি গালিব ও মান্টো আর তাঁদের সময়ের ভারতবর্ষের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা।
বইয়ের বিবরণ
- শিরোনাম মির্জা গালিব
- লেখক সাদত হাসান মান্টো, জাভেদ হুসেন (অনুবাদক)
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- প্রকাশের সাল ২০২৩
- বাঁধাই হার্ডকভার
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

সাদত হাসান মান্টো
জন্ম ১৯১২ সালের ১১ মে পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার সোমরালা গ্রামে। মাত্র ৪৩ বছরের জীবনে তিনি নানা রকম পেশায় জড়িত হন। অনুবাদক, বেতার নাট্যকার, চলচ্চিত্রের কাহিনিকার ও সাংবাদিক হিসেবে তাঁর জীবন ছিল কর্মবহুল। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে ওঠে তাঁর সাহিত্য। ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগ তাঁর ব্যক্তিগত ও সাহিত্যিক জীবনে গভীর ছাপ ফেলে। তিনি পাকিস্তানে চলে যান। সেখানেও মানসিক ও আর্থিকভাবে থিতু হতে পারেননি। লেখায় অশ্লীলতার অভিযোগে তাঁকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। নিদারুণ অর্থকষ্টে ভুগেছেন। মৃত্যু ১৮ জানুয়ারি ১৯৫৫।