১৮৯৫ সালে ফ্রান্সে লুমিয়ের ব্রাদার্সের বানানো প্রামাণ্য ধাঁচের স্বল্পদৈর্ঘ্য বড়পর্দায় প্রদর্শনের মাধ্যমে পৃথিবীতে চলচ্চিত্র নামক নতুন এক শিল্পমাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়। এরপর চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কেটে গেছে একশো বছরের বেশি সময়। আইএমডিবির এক তথ্যমতে যেই ১৯০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বে প্রতিবছর গড়ে ২,৫৭৭টি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। ক্ষুদ্র এই মানবজীবনে সাধারণ দর্শকের পক্ষে এর ১ শতাংশ চলচ্চিত্র দর্শনও বাস্তবিকঅর্থে সম্ভব নয়। বিশ্বে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করতে চালু আছে নানা চলচ্চিত্র পুরস্কার। তন্মধ্যে অস্কার বা অ্যাকাডেমি পুরস্কার সর্বজনস্বীকৃত। প্রতিবছর অস্কারে সেরা ছবির পুরস্কার কে পেল সেটি নিয়ে সাধারণ দর্শকদের মাঝে চলে নানা জল্পনা-কল্পনা। অস্কারনামা নামক বইটিতে ১৯২৯ সালে অস্কারের প্রথম আসরের সেরা ছবি ‘উইংস’ থেকে বইটি প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত সর্বশেষ অস্কার জয়ী সেরা ছবি ‘কোডা’, সমস্ত অস্কারবিজয়ী সেরা চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এ বইটিতে। বইটি রচনার মূল লক্ষ্য চলচ্চিত্রের নতুন দর্শককে অস্কারের সেরা চলচ্চিত্রগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পরিচয় করিয়ে দেওয়া। ভবিষ্যতে ইচ্ছে থাকবে বইটির আরও কিছু পর্ব প্রকাশের যেখানে উল্লেখিত থাকবে সেরা চলচ্চিত্র ছাড়াও অস্কারের অন্য পুরস্কারগুলো নিয়ে। ছবিগুলো নিয়ে বর্ণনা-বিশ্লেষণের ফাঁকে চেষ্টা করা হয়েছে যথাসম্ভব চলচ্চিত্রের আকর্ষণকে ধরে রাখতে, তবে এরমধ্যে কিছু লেখায় গল্প সম্পর্কে সম্পূরক ধারণা চলে আসতে পারে। তবে আমি পুরোপুরিভাবে বিশ্বাস করি চলচ্চিত্রমনা মানুষদের জন্য সে ছবিটি দেখতে আরও আগ্রহ সৃষ্টি করবে। অস্কারবিজয়ী প্রতিটি সেরা চলচ্চিত্রকে নিয়ে লেখাগুলোর শেষে বইটিতে সংযোজন করা হয়ে কিউআর কোড। যার মাধ্যমে পাঠকেরা তাদের হাতে থাকা মুঠোফোনের মাধ্যমে কোডটি স্ক্যান করে নিমেষেই দেখে নিতে পারবেন চলচ্চিত্রটির অফিসিয়াল ট্রেলারগুলো যা চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে দর্শককে প্রাথমিক ধারণা দেবে। আমার আগের চলচ্চিত্রের বইগুলোর মতোই, এই বইটি পাঠের মাধ্যমে পাঠকের মনে সিনেমা শুধু বিনোদনের বিষয় নয়, তাদের ভাবনা-সৃষ্টিশীলতার খোরাক হবে সেই কামনা করছি।
বইয়ের বিবরণ
- শিরোনাম অস্কারনামা
- লেখক মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল
- প্রকাশক শোভা প্রকাশ
- প্রকাশের সাল 2023
- বাঁধাই হার্ডকভার
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল
মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিলের জন্ম ৩১ শে অক্টোবর। ফরিদপুরে জন্ম নিলেও বাল্যকাল কেটেছে মাদারীপুর ও পটুয়াখালীতে। পৈত্রিক বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তারপর ঢাকা আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রোকৌশল (ইইই) তে স্মাতক ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) থেকে স্নাতকোত্তরের (ইএমবিএ) পাট চুকিয়েছেন। বর্তমানে কর্মরত আছেন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে একটি আইসিটি প্রতিষ্ঠানে। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হলেও লেখালেখি তার নেশা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই টুকটাক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানাতেন, লেখালেখিও করতেন। এ পর্যন্ত বানিয়েছেন গোটা পাঁচেক স্বল্পদৈর্ঘ্য। কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রতিষ্ঠাকালীন সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে নিয়মিত লিখছেন ভোরের কাগজ সহ আরো কিছু জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনে। সঙ্গে “ফুডিশিয়াস ঢাকা” নামে তিনি একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছেন যেটি দিয়ে বাংলাদেশের কিছু ভালো দিককে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার খুব ইচ্ছে তার। ইচ্ছে আছে মনের খোরাক হিসেবে লেখালেখি ও প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েই বাকী জীবন কাটিয়ে দেয়ার। বর্তমানে যুক্ত আছেন আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল-জেসিআই বাংলাদেশ এ। সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা থেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন বি পজেটিভ ফাউন্ডেশন। পার্সনাল ব্র্যান্ডিং, কন্টেন্ট রাইটিং, অ্যাপ মনিটাইজেশন এর মতো বিষয়বস্তুর প্রশিক্ষক হিসেবে আলোকিত করেছেন দেশ-বিদেশের হাজারো তরুণদের। সংসারের একমাত্র সন্তান হিসেবে বাবা, মা, স্ত্রী ও একমাত্র পুত্রকে নিয়ে তার জীবন। প্রিয় বিষয় ক্রিকেট, চলচ্চিত্র, ভোজনবিলাশ, প্রত্নতত্ত্ব, ধর্ম ও দর্শন, ভ্রমন, ইতিহাস, ব্যবসায়ে শিক্ষা, ফটোগ্রাফি, টেকনোলোজি ও নানা কিছু।