সে এসে বসুক পাশে

লেখক: সাদাত হোসাইন

বিষয়: উপন্যাস, বইমেলা ২০২৩

৪১০.২৫ টাকা ২৫% ছাড় ৫৪৭.০০ টাকা

'আমার যে একটা বিয়ে হয়েছিল, এই পরিচয়টা কি কখনো মুছে ফেলা যাবে? যাবে না।

‘আজাদ বলল, ‘জীবনভর ভুল মানুষের কারণে আমাদের জীবনে অসংখ্য ভুল হয়। সেই ভুল থেকে ক্ষত তৈরি হয়। কিন্তু সময় সেই ক্ষত ক্রমশই মুছে দিতে থাকে। আর আমরা যারা বোকা তারাই কেবল সেই ক্ষতগুলো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আবার দগদগে ঘায়ে রূপান্তরিত করি। তাকে শুকাতে দেই না।’

 ‘কিন্তু সময় যদি কারো ক্ষত শুকিয়ে দিতে না পারে? যদি তা দুঃসহ স্মৃতি হয়েই থেকে যায়?’

 ‘তাহলে সেটি মোছার ব্যবস্থা করতে হবে।’

 ‘কীভাবে মুছব?’

পছন্দের তালিকায় রাখুন

বইয়ের বিবরণ

  • শিরোনাম সে এসে বসুক পাশে
  • লেখক সাদাত হোসাইন
  • প্রকাশক অন্যধারা
  • প্রকাশের সাল ২০২৩
  • বাঁধাই হার্ডকভার
  • দেশ বাংলাদেশ
  • ভাষা বাংলা

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

সাদাত হোসাইন

স্নাতকোত্তর, নৃবিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। সাদাত হোসাইন নিজেকে বলেন গল্পের মানুষ। তাঁর কাছে চারপাশের জীবন ও জগত, মন ও মানুষ সকলই গল্প। তিনি মনে করেন, সিনেমা থেকে পেইন্টিং, আলোকচিত্র থেকে ভাস্কর্য, গান থেকে কবিতা- উপন্যাস-নাটক, সৃজনশীল এই প্রতিটি মাধ্যমই মূলত গল্প বলে। গল্প বলার সেই আগ্রহ থেকেই একের পর এক লিখেছেন- আরশিনগর, অন্দরমহল, মানবজনম, নিঃসঙ্গ নক্ষত্র, নির্বাসন, ছদ্মবেশ, মেঘেদের দিন ও অর্ধবৃত্তের মতো তুমুল জনপ্রিয় উপন্যাস। ‘কাজল চোখের মেয়ে’, তোমাকে দেখার অসুখ'সহ দারুণ সব পাঠকপ্রিয় কবিতার বই। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বোধ, দ্য শুজ, প্রযত্নের পাশাপাশি' নির্মাণ করেছেন 'গহীনের গান' এর মতো ব্যতিক্রমধর্মী পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও। জিতেছেন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকার পুরস্কার, এসবিএসপি-আরপি ফাউন্ডেশন সাহিত্য পুরস্কার, পশ্চমিবঙ্গের চোখ সাহত্যি পুরস্কার, শুভজন সাহিত্য সম্মাননা ও এক্সিম ব্যাংক- অন্যদিন হুমায়ূন আহমদে সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯। তাঁর জন্ম ১৯৮৪ সালের ২১ মে, মাদারীপুর জেলার, কালকিনি থানার কয়ারিয়া গ্রামে।

এই লেখকের আরও বই
এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
৪(১)
  • (০)
  • (১)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন

User

০২ Feb, ২০২৩ - ১২:৩৭ AM

আমার জীবনের গল্পটা আপনি কী করে লিখলেন? লেখকের জন্য পাঠকের এমন প্রশ্ন আনন্দের। কারণ, লিখতে গিয়ে তো শেষ অবধি নিজের চারপাশের চিত্র ও চরিত্র, জীবন ও জগণকেই পাঠ করেন একজন লেখক । আর তারপর তা প্রতিবিদ্বিত করে তোলেন কালি ও কলমে। এই উপন্যাসটিও তেমন। রেণু নামের যে চরিত্রটি এখানে প্রতিবিম্বিত হয়েছে, সে বাত্তবেরই এক চরিত্র। এই গল্পের ঘটনাও । তবে সেই ঘটনা হুবহু লেখা হয়নি। বরং লেখক তার সঙ্গে যুক্ত করেছেন তার নিজের রেণুর কখনো প্রাপ্তির, কখনো অপ্রাপ্তির। কখনো. ভালোবাসার কখনো ঘৃণার। আবার কখনো অপেক্ষার, কখনো উপেক্ষার ৷ তবে সব ছাপিয়ে রেণুর জীবন কি অদ্ভুত এক শূন্যতায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে? কিংবা আমাদেরও? আর সেই শূন্যতা বিষন্ন সন্ধ্যা, কিংবা মন খারাপের তবে সব ছাপিয়ে রেণুর জীবন কি অদ্ভুত এক শূন্যতায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে? কিংবা আমাদেরও? আর সেই শূন্যতা বিষন্ন সন্ধ্যা, কিংবা মন খারাপের রাত্তিরে কি আমাদের কাছে এসে বলে, “সে এসে বসুক পাশে! আর তখন কি সত্যি সত্যিই আমাদের তেমন কেউ থাকে, যে পাশে এসে বসে? নাকি ওই অদ্ভুত শূন্যতা থেকে যায় তেমনই? #প্রথমাডটকম_কথাপ্রকাশ_বই_রিভিউ_প্রতিযোগিতা