১৫০.০০ টাকা ২৫% ছাড় ২০০.০০ টাকা

 আনোয়ার হোসেনের একমাত্র ছেলে রাফি। ক্লাস ফাইভে পড়ে। সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। পড়াশোনায় তেমন মনোযোগী নয়। বড় এবং ভালো স্কুলে পড়ে। আনোয়ার হোসেন এবং তার স্ত্রী দুইজনই নিজেদের কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাঁরা ছেলেকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু ছেলে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতেই বেশি পছন্দ করে। আনোয়ার হোসেন একদিন বাড়ি ফিরে ছেলেকে জানালেন তিনি গল্পের বন্ধুর খোঁজ পেয়েছেন। ছেলেকে সেই গল্পের বন্ধুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন। এই কথা শুনে রাফি খুব অবাক হয়। গেমসের বন্ধু হয়, ক্লাসের বন্ধু হয়; গল্পের আবার বন্ধু হয় নাকি ? টুটুল এবং টুম্পা দুই ভাই বোন। দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বাবা নেই। মা আছেন। দুই ভাই বোন প্রচন্ড মেধাবী। একদিন স্কুল থেকে জানানো হয় তাদের বকেয়া ফি পরিশোধ না করলে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। এই কথা শুনে দুই ভাই বোনের মন খারাপ হয়। তারা পরীক্ষা দিতে চায়। পড়াশোনা করতে চায়। দুই ভাই বোন অনেক ভাবনা চিন্তা করে বের করে তারা তাদের জমানো টাকা দিয়ে বড়শি কিনে পাশের বিল থেকে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করবে। সেই টাকা দিয়ে বকেয়া ফি দিবে। তারপর পরীক্ষা দিবে। আদৌ কি এটা সম্ভব? রাফির গল্পের বন্ধু কে হবে? টুটুল এবং টুম্পা শেষ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পারবে? আনোয়ার হোসেন পারবেন নিজের ছেলেকে ডিভাইস এডিকশন থেকে বের করতে?

স্টক সীমিত: কেবলমাত্র ১ টি বাকি আছে পছন্দের তালিকায় রাখুন

বইয়ের বিবরণ

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

ফারজানা আক্তার

ফারজানা আক্তার কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার চরমাহমুদ্দি গ্রামে ৫মে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মায়ের বড় সন্তান। বাবা ফজলু প্রধান। মা রুশিয়া আক্তার। মা বেঁচে নেই। মা শারীরিকভাবে সাথে নেই কিন্তু মানসিকভাবে আছেন। তাই মায়ের নামের আগে মৃত লেখা হচ্ছে না। একমাত্র ছোট বোনের নাম ফাতেমা আক্তার রিপা এবং ছোটো ভাইয়ের নাম ইয়াসিন প্রধান সাজিদ। পড়াশোনা করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। পেশাগত দিক থেকে তিনি একজন ওয়েব ডেভেলপার। পাশাপাশি ওমেন্স কর্নার নামের একটি সংগঠনের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি পদে কর্মরত আছেন। নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে কাজ করছে Srishti - সৃষ্টি। Srishti - সৃষ্টি'র চিফ এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। লেখালেখি শুরু করেছেন খুব বেশিদিন হয়নি। শুরুতে মতামত বিভাগে নিয়মিত লিখতেন। তারপর ধীরে ধীরে নানান বিষয়ে কনটেন্ট লিখতে শুরু করেন। ছোটোগল্প লেখার শুরু তখন থেকেই। তার লেখায় সামাজিক বিভিন্ন ইস্যু, পারিবারিক ইস্যু, মানসিক বিভিন্ন টানাপোড়ন, পজেটিভনেস ফুটে ওঠে। ছোটদের এবং কিশোর - কিশোরীদের নিয়ে তার একটি আলাদা ভাবনা রয়েছে। প্রযুক্তির যুগে শিশুরা কেমন জানি রোবটিকভাবে বড় হচ্ছে, অন্যদিকে কিশোর - কিশোরীরা তাদের সুন্দর সময়টা সৃজনশীল কাজে ব্যয় না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপচয় করছে। শিশু - কিশোরদের নিয়ে তার ভাবনা।

এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
৫(৬)
  • (৬)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন

সাহাজান

১৩ Feb, ২০২৩ - ৯:২৭ PM

পজেটিভ গল্প, মানবিক গল্প। গল্পের কনসেপ্টে ভিন্নতা রয়েছে। শিশুদের জন্য পার্ফেক্ট। রিকমন্ডেড।

User

১৩ Feb, ২০২৩ - ৮:৩৬ PM

পড়াশোনা করতে ভালো লাগে টুটুল এবং টুম্পার। অন্যদিকে রাফির একদম পড়াশোনা করতে ভালো লাগে না। পড়াশোনা করার মতো আর্থিক অবস্থা নেই টুটুলদের, অন্যদিকে রাফির মা ডাক্তার এবং বাবার নিজস্ব ইংলিশ এবং বাংলা মিডিয়ামের স্কুল রয়েছে। রাফিরা ধনী। কিন্তু, তবুও রাফির মায়ের মনে হয় টুটুলের মা উনার তুলনায় বেশি ভাগ্যবতী। কী যেন ওই দারিদ্র্যে জর্জরিত নারীর মধ্যে আছে যা তার মধ্যে নেই। তিনটি ছোট ছোট বাচ্চা এবং দুইটি পরিবারের গল্প নিয়ে রচিত রয়েছে গল্পের বন্ধু বইটি। লেখিকা ফারজানা আক্তার। সুন্দর পজেটিভ গল্প। শিশু এবং তাদের প্যারেন্টসদের জন্য হাইলি রিকমন্ডেড।

Abdus Salam

১২ Feb, ২০২৩ - ২:৩৬ PM

টুটুল এবং টুম্পা ৪০ টাকা দিয়ে মায়ের জন্মদিন পালন করার বর্ননা যখন রাফিকে দেয়, সেই অংশটুকু পড়ে আমার মন ভরে গেলো। ৪০ টাকা দিয়ে আনন্দ নিয়ে জন্মদিন পালন করা যায় আগে কখনো ভাবিনি। গল্পের বন্ধু বইটি শিশুতোষ গল্পের বই। আমার বাচ্চাকে পড়ে শোনাচ্ছিলাম। এতো সুন্দর গল্প পড়তে আমার নিজেরই ভালো লাগছিলো। শিশুদের জন্য রিকমন্ডেড। ধন্যবাদ লেখিকাকে এতো সুন্দর কনসেপ্টের গল্পের জন্য।

User

১২ Feb, ২০২৩ - ১:৪৩ PM

টুটুল এবং টুম্পার স্কুল থেকে বলে দিয়েছে তাদের বকেয়া ফি পরিশোধ না করলে নেক্সট টাইম তারা এক্সাম দিতে পারবে না। এই কথা শুনে তাদের খুব মন খারাপ হলো। কারণ তারা পড়াশোনা করতে চায়। অনেক বড় হতে চায়। দুই ভাই বোন বুদ্ধি করে একটি প্ল্যান করে৷ কী সেই প্ল্যান? কিভাবে তারা পড়াশোনা চালিয়ে যাবে? গল্পের বন্ধু একটি শিশুতোষ গল্পের বই। পজেটিভ গল্প। শিশুদের জন্য হাইলি রিকমন্ডেড।

User

১২ Feb, ২০২৩ - ১:৩২ PM

ভাগ্নীর জন্য গল্পের বন্ধু বইটি কিনেছি৷ আমার ভাগ্নী আমার মতোই। বই পড়তে ভালোবাসে৷ বইয়ের ফ্ল্যাপ পড়ে আমার কিউরিওসিটি জন্মালো। গল্পগুলো ছোট ছোট তাই ভাবলাম একবার চোখ বুলিয়ে নেই। পড়লাম। দারুণ সুন্দর এবং পজেটিভ গল্প। বাচ্চাদের জন্য হাইলি রিকমন্ডেড। বড়রা পড়লেও সমস্যা নেই। তাদের মন নিমিষেই ভালো হয়ে যাবে। আনোয়ার হোসেন চরিত্রটি আমার বেশ ভালো লেগেছে। গল্প পড়তে পড়তে ইচ্ছে করছিলো টুটুল, টুম্পা এবং রাফির গাল দুটো টেনে দেই। ওদের আমার জীবন্ত কোন চরিত্র মনে হয়েছিল। লেখিকার জন্য শুভকামনা।

Afrin Mihir

১২ Feb, ২০২৩ - ১:২৮ PM

আনোয়ার হোসেন টুটুল, টুম্পা এবং রাফিকে নিয়ে স্কুলের ক্যান্টিনে খেতে বসেছেন। টুটুল, টুম্পা বার্গারের অর্ডার দিয়েছে। রাফি দিয়েছে পিজ্জার। টুটুল এবং টুম্পা অর্ধেক বার্গার খেয়ে বাকিটা তাদের মায়ের জন্য নিয়ে যেতে চাইলো। তাদের কথা শুনে রাফিও ওর মায়ের জন্য পিজ্জা নিয়ে যেতে চাইলো। গল্পের বন্ধু বইয়ের এই অংশটুকু পড়ে আমার কেন জানি নিজের চোখ দিয়ে জল চলে আসলো। ঠাকুরের আর্শীবাদে আমার ৭ বছরের ছেলেটার স্বভাব এমন। সে কিছু খাওয়ার সময় আমার জন্য আলাদা করে রেখে দেয়। গল্পের বন্ধু বইটা অনেক সুন্দর। সবার পড়া উচিত।