লাভ লেন শব্দ দুটি ব্রিটিশদের দেওয়া। এই লাভ লেনের একটি বাড়ি ঘিরে উপন্যাসটির কাহিনিবৃত্ত। মানুষের জীবনে প্রেম মহার্ঘ। তারপরও কেন নর-নারীকে অপ্রেমের সঙ্গে জীবন কাটাতে হয়? এই প্রশ্নটির উত্তর খোঁজা হয়েছে এই উপন্যাসে।
বইয়ের বিবরণ
নাম দেখে মনে হবে, এ বুঝি এক প্রেমের উপন্যাস। আসলে এটি এক অপ্রেমের বৃত্তান্ত। বাদামি-জীবন আমাদের। এক খোসার ভেতর দুটো আলাদা ঘরে দুটো বাদাম। আমাদের দাম্পত্যজীবনও ঠিক বাদামের মতন। এক ঘরে এক বিছানায় শুয়েও আলাদা জীবন আমাদের। কাকে যেন পাওয়ার ছিল, কে যেন অধরা থেকে গেল! তিশা সিরাজের সঙ্গে ঘর বাঁধতে চেয়েছিল, পারেনি। লম্বা বেঢপ চেহারার নিখিল ভৌমিকের সঙ্গে রূপসী তিশাকে সংসার করতে হলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিল জয়দীপ। দাম্পত্যজীবনটা সুখকর ছিল না। এই উপন্যাসের শরীরজুড়ে না পাওয়ার ক্ষতচিহ্ন। স্নিগ্ধমধুর এক স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকে ‘১৬/১৭ লাভ লেনে’।
- শিরোনাম ১৬/১৭ লাভ লেন
- লেখক হরিশংকর জলদাস
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- প্রকাশের সাল ২০২৩
- মুদ্রণ 1st
- বাঁধাই হার্ডকভার
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
হরিশংকর জলদাস
জন্ম ১৯৫৫ সালের ১২ অক্টোবর, চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গা গ্রামের জেলেপল্লিতে। লেখালেখি শুরু করেছেন মধ্যবয়সে। প্রথম উপন্যাস জলপুত্র। শুরুতেই পাঠকের কাছে সমাদৃত হয়েছেন। কারণ তিনি শুধু কাহিনি লেখেন না, সমাজকেও আঁকেন। তাঁর কয়েকটি উপন্যাস—দহনকাল, কসবি, মোহনা, রামগোলাম, প্রতিদ্বন্দ্বী, আমি মৃণালিনী নই। গল্পগ্রন্েথর মধ্যে রয়েছে জলদাসীর গল্প, হরকিশোরবাবু, কোনো এক চন্দ্রাবতী। বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কারসহ এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার।