সংসারী মানুষের পক্ষে কবিতা লেখা একরকম আত্ম-বিদ্রোহ আর দুঃখের নন্দিত কারুকাজ হৃদয়ে ধরে কবিতা লেখার সময় পার্থিব সব বন্ধন হয়ে ওঠে শৃঙ্খলসম। দুঃখবোধকে কবিতার নিউক্লিয়াস মেনে কলম ধরার পর জেনেছি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এ যন্ত্রভুবনে(যত্ন করে ভালোবাসার মানুষেরই যেখানে বড্ড অভাব সেখানে) কেউ আপনাকে খুব যত্ন করে দুঃখ দেবে, কিছু 'সুন্দর বিরহ' রেখে যাবে এমনটা আশা করা বৃথা। টুকরো মন খারাপের দিন, বিষন্নতার চাপা চিৎকারের রাতগুলোয় সাজিয়ে নিয়েছি তাই দুঃখকে নিজের মতো কারুকার্যে। কেউ বলতে পারেন, কবিতায় সাজানো দুঃখ মানুষকে আরও দুঃখী করে তোলে।আদতে তা নয়। আমি কেবল বিষণ্ণ পৃথিবীর দুঃখ-ভান্ডার থেকে দুফোঁটা অশ্রু তুলে এনে দেখাতে চেয়েছি দুনিয়ার সব অবহেলা,ক্রন্দন আর ক্রোধ দাঁতে দাঁত চেপে পরিণত করা যায় জীবনীশক্তিতে,বুকভরা কান্নার ঢেউ মুখের হাসিতে ভাসিয়ে দেয়া যায়,অসীম দুঃখ নিয়েও বেঁচে থাকা যায় নির্দ্বিধায়।কলমে কবিতার কোমল টর্নেডো তুলে লিখতে চেয়েছি– চোখ একটি জলজ প্রাণী, নিজের গহীনে ডুবতে ডুবতে সে শিখে ফেলে সুনিপুণ সাঁতারের কৌশল। কখনো সে সাঁতার অন্ধকার নিঃসঙ্গ যাত্রায়, আবার হঠাৎ পথচলায় হাতের মাঝে হাত খুঁজে পাওয়া; আলোর ঝলকানির মতো বুকে ভেসে ওঠা মুখ।
বইয়ের বিবরণ
- শিরোনাম আলোবতীর কালো খাতা
- লেখক মুহাম্মদ বিন এমরান
- প্রকাশক শিখা প্রকাশনী
- প্রকাশের সাল ২০২৩
- বাঁধাই হার্ডকাভার
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন
Mohammad Bin Emran
১৯ Feb, ২০২৩ - ৮:৪৮ PM
🖤