সরদার ফজলুল করিমের ভাবনা, সংগ্রাম ও সাধনায় প্রভাব রেখেছেন—এমন ১৮ ব্যক্তিকে নিয়ে তাঁর লেখার সংকলন এ বই। তাঁদের কেউ জন্মেছেন অন্য কালে অন্য দেশে, কেউবা ছিলেন তাঁর সমসাময়িক ও সহযোদ্ধা। মনুষ্যত্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সবাই তাঁর প্রিয় মুখ।
বইয়ের বিবরণ
মানবিক সমাজের আকাঙ্ক্ষাকে সারা জীবন নিজের মধ্যে ধারণ করেছেন সরদার ফজলুল করিম। প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে শুরু করে শিক্ষকতা ও লেখালেখি—সব কাজের মধ্য দিয়ে সারা জীবন চেষ্টা করেছেন সমাজে শুভ চিন্তার প্রসার ঘটাতে। এই পথে তিনি যেমন সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন দূর দেশের ও কালের সক্রেটিস কিংবা রুশোকে, তেমনি স্বদেশের ও সমকালের রণেশ দাশগুপ্তের মতো কাউকে কাউকে। দেশ আর কালের গণ্ডি পেরিয়ে এমন সব মানুষকে তিনি ভালোবেসেছেন, করেছেন তাঁর মানসসঙ্গী। লেখালেখির মধ্য দিয়ে তিনি বারবার তাঁদের স্মরণ করেছেন, বলে গেছেন তাঁদের কথা। প্রিয় এমন কিছু মুখ নিয়েই সরদার ফজলুল করিমের লেখার সংগ্রহ এ বই।
- শিরোনাম আমার প্রিয় মুখ
- লেখক সরদার ফজলুল করিম
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- মুদ্রণ 1st edition
- বাঁধাই Hardcover
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

সরদার ফজলুল করিম
জন্ম ১ মে ১৯২৫, বরিশালের এক কৃষক পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৫ সালে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স ও ১৯৪৬ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ। ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্রে শিক্ষকতা। ছাত্রজীবন থেকেই শোষণমুক্ত মানবতাবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে আন্দোলন-সংগ্রামে জড়িত ছিলেন। ১৯৫৪ সালে জেল থেকেই পাকিস্তান আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩-৭১ সাল পর্যন্ত পালন করেন বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগের মুখ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস কারাগারে কাটান। ১৯৭২-৮৫ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। জাতীয় অধ্যাপকের মর্যাদায় ভূষিত। উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ও সম্মাননা: বাংলা একাডেমি ও স্বাধীনতা পুরস্কার। তাঁর আত্মজীবনী ও অন্যান্য বইটি প্রকাশ করেছে প্রথমা। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য অনূদিত ও মৌলিক গ্রন্থ প্লেটোর রিপাবলিক, রুশোর সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট, দর্শনকোষ, নানা কথার পরের কথা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ: অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক-এর আলাপচারিতা, রুমীর আম্মা ও অন্যান্য প্রবন্ধ। মৃত্যু ১৫ জুন ২০১৪।