বইয়ের বিবরণ
বিভিন্ন দেশের লােকসাহিত্যের দিকে চোখ ফেরালে দেখা যাবে, লােকসাহিত্যের মধ্যে সেই জাতি ও তার ভৌগােলিক পরিবেশের চমৎকার প্রভাব রয়েছে। রুক্ষ মরুময় প্রান্তরের জনজীবন একরকম, আবার শুভ্র বরফের অনাবিল পরিবেশের মানুষের জীবনযাত্রা আরেক রকম। তাই অতি সহজেই এই দুই পরিবেশের গল্প তৈরি হবে দু-রকমভাবে। লােকসাহিত্য সার্বিক মানব-ঐতিহ্যের অংশ বলেই পৃথিবীর প্রায় সব দেশের গল্পের রূপ-রস-গন্ধও খুব সহজেই চেনা যায়। যেমন পুরনাে সভ্যতার দেশ— চীন, জাপান, ভারত, মধ্য এশিয়া, রাশিয়া, আফ্রিকা কিংবা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশসমূহের রূপকথা পৃথিবীবিখ্যাত হয়ে আছে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশে রূপকথা শিল্প-সাফল্যে আশ্চর্য সুন্দর। বরফের দেশের মানুষ শীতকালে ঘরে বন্দি অবস্থায় কর্মহীন দিনযাপন করতে বাধ্য হয়। এই অফুরন্ত অবসর তৈরি করেছে হাজার বছরের কালচক্রে হাজার হাজার গল্প।সেই অমর, স্বর্গীয় ও অতিলৌকিক গল্পগুলােই পরবর্তীতে ছড়িয়ে পড়েছে ইউরােপের বিভিন্ন দেশে। নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ডকে রূপকথার গল্পের স্বর্গভূমি বলা যায়। এই গল্পগুলােই ভ্রমণ করেছে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মান, অস্ট্রিয়া, রাশিয়া প্রভৃতি দেশ। একই গল্প এক-এক দেশে এক-একরকম আবহের ভেতর নতুন ও আলাদা সুরবৈচিত্র্য তৈরি করেছে। পৃথিবীর প্রচলিত অনেক বিখ্যাত গল্পের উৎসভূমি নরওয়ে। নরওয়ের রূপকথা নির্বাচন করা তাই খুবই কঠিন ও শ্রমসাধ্য একটি বিষয়। হাজার হাজার উৎকৃষ্ট মানের গল্প রয়েছে নরওয়ের পথেপ্রান্তরে। তবে নরওয়েকে সত্যিকারভাবে প্রতিনিধিত্ব করে এমন গল্পগুলােই আমরা বাছাই করতে চেষ্টা করেছি।
- শিরোনাম নরওয়ের রূপকথা
- লেখক আমীরুল ইসলাম (অনুবাদক)
- প্রকাশক বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
- আইএসবিএন ৯৮৪১৮০১৩৮৮
- প্রকাশের সাল ২০১৬
- মুদ্রণ 6th
- বাঁধাই হার্ডকভার
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।