৯০০.০০ টাকা ২৫% ছাড় ১,২০০.০০ টাকা

বখতিয়ার খলজির বাংলা বিজয় থেকে ১২৫৯ সাল পর্যন্ত বাংলার ইতিহাসের একমাত্র নির্ভরযোগ্য উৎস হলো তবকাত-ই-নাসিরী। লেখক নিজে সে সময়ের ঘটনাপ্রবাহের অংশীদার ছিলেন। সরেজমিন তথ্য সংগ্রহ করেছেন বখতিয়ার খলজির বেঁচে থাকা সহযোগীদের কাছ থেকে। সব তথ্য নিয়ে লিখেছেন এই বই। প্রত্যক্ষদর্শীর লেখা বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের মূল থেকে অনুবাদ আর সঙ্গে বিশদ অমূল্য ভূমিকা। বাংলায় মুসলিম সমাজের বিকাশ সম্বন্ধে জানতে অদ্বিতীয় গ্রন্থ।

পছন্দের তালিকায় রাখুন

বইয়ের বিবরণ

তবকাত-ই-নাসিরী (১২৬০ সালে সম্পন্ন) গ্রন্থটিতে ইসলামের অভ্যুদয় থেকে আরব ও প্রাচ্যে মুসলিম শাসনকাল এবং তাঁদের কীর্তির বিশদ বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ হয়েছে। লেখক মীনহাজ-ই-সিরাজ (১১৯৩-১২৬৬ খ্রিষ্টাব্দের পর) ছিলেন দিল্লির কাজি। কর্মসূত্রে সুলতানি আমলের বাংলায় (১২৪৩-৪৪) এসে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করার পর দিল্লি ফিরে রচনা করেন এই বই। দিল্লির সুলতানের বিরুদ্ধে খলজিদের বিদ্রোহ, বখতিয়ার খলজির নেতৃত্বে বাংলায় তুর্কি অধিকার, ব্যর্থ তিব্বত অভিযান ও তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত বাংলার ৫৪ বছরের একমাত্র ইতিহাস এই বই। মূল্যবান ও বিশদ ভূমিকাসহ বইটির সংশ্লিষ্ট তিনটি অংশ মূল ফারসি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন নিষ্ঠাবান ইতিহাস-গবেষক আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সম্পাদিত ও নিখুঁতভাবে যাচাই করা বইটির বর্তমান সংস্করণের ওপর পাঠক ভরসা রাখতে পারেন।

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া

জন্ম ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিকান্দি গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে এমএ। ব্রিটিশ আমলের শেষ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হন। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে অবসর নেন ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে । বহুভাষাবিদ। প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, নৃতত্ত্ব, মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য ইত্যাদি জ্ঞানবিদ্যার নানা ক্ষেত্রে ছিল তাঁর স্বচ্ছন্দ বিচরণ। প্রথমা প্রকাশন থেকে বেরিয়েছে তাঁর গবেষণাগ্রন্থ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ও অনূদিত গ্রন্থ করম আলি খানের মোজাফ্ফরনামা। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রত্নসম্পদ, বাংলাদেশের প্রাচীন কীর্তি (২ খণ্ড), বাংলা সাহিত্যে গাজী-কালু ও চম্পাবতী উপাখ্যান, বরেন্দ্র অঞ্চলের ইতিহাস ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য বই। ফারসি ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন বিখ্যাত সিয়ার-উল-মুতাখখিরিন ও তবকাত-ই-নাসিরি। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদক। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
০(০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন