একসময় অঝোরে লিখেছি প্রবন্ধ-কলাম। লিখেছি বিভিন্ন চরিত্রের পত্রিকায়, সাময়িকীতে। বিষয়ের কোনো বাড়িঘর ছিল না। যখন যেখানে ইচ্ছে, বিহার করেছি। সেসব লেখার হয়তো কোনো গুরুত্ব ছিল। নতুবা পাঠক আজও কেন মনে রাখবেন পুরোনো সেই শব্দবিস্তার? অনেকের বারবার তাড়না ও তাগাদা আমার উদাসীন মনকে আগ্রহী করল সেসব রচনার প্রতি, একটি সংকলনের প্রতি। মুশকিল হলো, পুরোনো লেখাগুলো আমার সংগ্রহে নেই। সেগুলো ছিঁড়েছে, ভিজেছে, বাড়িময় উড়েছে, উই খেয়েছে এবং এর অনেকটাই ঘটেছে মূলত আমার সামনে। অদ্ভুত এক ভাবনা ছিল মনে এগুলোর সংরক্ষণ আমি করব কেন? যদি তা কাজের হয়, সময় একে ধরে রাখবেই! ‘কাজের হলে রচনাগুলো ধরে রাখবে সময়’ এ ধারণার বিপদ উপলব্ধি করেই হয়তো অনুজ, কবি সালেহ রাশেদ কিছু লেখা সংরক্ষণ করে রাখেন। সেগুলোরই মলাটবদ্ধ রূপ ‘পৃথিবী ঘরে ফেরো!’ পুরোনো রচনার অনেকটাই কাব্যগন্ধি ও উচ্চকণ্ঠী। সেসব লেখা তখনকার মেজাজকে ধরে রাখছে। রচনাগুলোর বেশিরভাগই প্রকাশিত হয় বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিকে; ২০০৪ থেকে ২০১২ এর মধ্যে। বইটির প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালে। এক্ষণে প্রকাশিত হচ্ছে শোভা প্রকাশ সংষ্করণ। এতে নতুন কয়টি প্রবন্ধ যুক্ত হলো।
বইয়ের বিবরণ
- শিরোনাম পৃথিবী ঘরে ফেরো
- লেখক মুসা আল হাফিজ
- প্রকাশক শোভা প্রকাশ
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৬৭৮২৫০
- মুদ্রণ 1st published 2022
- বাঁধাই Hardcover
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ২৭২
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
মুসা আল হাফিজ
তরুণ কবি, গবেষক, বাগ্মী ও আলেম মুসা আল হাফিজ। ১৯৮৪ সালের ৫ অক্টোবর সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের মাখর-গাঁও গ্রামে তাঁর জন্ম। ১৯৯৫ সালে, ১১ বছর বয়সে কুরআন মজিদের হিফজ সম্পন্ন করেন। ২০০৭ সালে কৃতীত্বের সাথে তাকমিল ফিল হাদীস (মাস্টার্স সমমান) সম্পন্ন করেন। জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ তরুণ আলেম প্রতিভা-২০০৮ এ সম্মানীত হন। ২০০৯ সালে কর্মজীবনের শুরু ঐতিহ্যবাহী বিশ্বনাথ জামেয়া মাদানিয়ায় শিক্ষকতা এবং মাসিক আল ফারুকের উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে। ২০১৬ সালে উচ্চতর ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামেয়াতুল খায়র আল ইসলামীয়া সিলেটে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৯ সালে ঢাকায়, যাত্রাবাড়ীতে প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামী দা‘ওয়াহ ও গবেষণা কেন্দ্র মা‘হাদুল ফিকরি ওয়াদদিরাসাতিল ইসলামিয়া। বর্তমানে ইসলামিক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের চেয়ারম্যানের দায়িত্বপালন করছেন। ২০১১ সালে হয় তার কবিতা নিয়ে প্রকাশিত হয় কবি-সমালোচক মুকুল চৌধুরীর সনাক্তধর্মী আলোচনা ‘মুসা আল হাফিজ: কবিতার নতুন কণ্ঠস্বর’। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. রিজাউল ইসলাম তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে লিখেন গবেষণাগ্রন্থ- মুসা আল হাফিজের মননবিশ্ব (২০১৮)। তরুণ কবি এম আসাদ চৌধুরীর সম্পাদনায় ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে বিশজন আলোচকের পর্যালোচনাগ্রন্থ ‘মননের কবি, বৈদগ্ধের দৃষ্টিতে’। বিভিন্ন বিষয়ে তিনি ৪০ টি বই লিখেছেন।