কারবালা

লেখক: সাহাদত হোসেন খান

বিষয়: ধর্ম

৫৯২.০০ টাকা ২৬% ছাড় ৮০০.০০ টাকা
স্টক সীমিত: কেবলমাত্র ১ টি বাকি আছে পছন্দের তালিকায় রাখুন

বইয়ের বিবরণ

কারবালার নামটি আমরা কমবেশি সবাই শুনেছি। কিন্তু পুরো ঘটনা আমরা জানি না। আমাদের কাছ থেকে সত্য আড়াল করে রাখা হয়েছে। ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করা হয়। নবী (সা.)-এর প্রতি দরদ দেখানোর লোকের অভাব নেই। কিন্তু কারবালার ইতিহাস লেখার লোক নেই। ইতিহাস লেখা তো দূরে থাক, শোক প্রকাশ করা পর্যন্ত বেদ’আত ঘোষণা করা হয়েছে। হঠাৎ করে কারবালার হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়নি। সংকট শুরু হয়েছিল মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকালের পরক্ষণে। তবে এ সংকট তখন রক্তক্ষয়ের দিকে ধাবিত হয়নি। ধীরে ধীরে সংকট ঘনীভূত হতে থাকে এবং এ সংকট কারবালার লোমহর্ষক হত্যাযজ্ঞে চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। একদল ধর্ম ব্যবসায়ী ইয়াজিদকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে অন্য অপরাধী বিশেষ করে তার পিতা মুয়াবিয়াকে রক্ষা করতে চায়। কিন্তু ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। মুয়াবিয়া হলেন সংকটের মূল হোতা। ইয়াজিদ পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন মাত্র। মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ শুধু শিয়াদের নবী নন, তিনি সুন্নিদেরও নবী। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, শিয়ারা কারবালার শহীদদের স্মরণে শোক পালন করে, বুক চাপড়ায়। আর সুন্নিরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে। যেন ইমাম হোসেন ও কারবালার শহীদরা তাদের কেউ নয়। ইমাম হোসেনকে যারা পর ভাবেন মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ তাদের আপন হন কিভাবে? শেষ নবীর পরিবারের নির্মম পরিণতির প্রতি নীরবতা পালন করে কি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর শাফায়াত আশা করা যায়? এ বইটি হচ্ছে আমাদের এসব অসঙ্গত আচরণের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ। কারবালার শহীদদের প্রতি যাদের দরদ আছে এবং যারা নির্মোহভাবে ইতিহাসকে তালাশ করেন তাদের জন্য এই বইটি একটি মূল্যবান দলিল।

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

সাহাদত হোসেন খান

প্রখ্যাত লেখক এবং সাংবাদিক সাহাদত হোসেন খান বাংলাদেশের মিডিয়াপাড়ার একজন পরিচিত মুখ। তিনি দীর্ঘকাল ধরে সাংবাদিকতা করে চলেছেন। ১৯৮৭ সালে দৈনিক দিনকাল দিয়ে সাংবাদিকতা পেশা শুরু করেন তিনি। এরপর দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক ইত্তেফাকসহ একাধিক জাতীয় পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বিভিন্ন পদে তিনি চারবার দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে জাতীয় প্রেসক্লাব এবং বাংলা একাডেমির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। গুণী এ লেখকের জন্ম ১৯৫৬ সালের ১লা মে। নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান তিনি। স্থানীয় স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা এবং নরসিংদী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। সাহাদত হোসেন খান এর বই সমূহ-তে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অধিক স্থান পায়। দীর্ঘকালের সাংবাদিকতা ক্যারিয়ারে তিনি আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর প্রতি ঝোঁক তৈরি করেছেন, যা তার লেখালেখিকেও প্রভাবিত করেছে। ‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধ’, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ট্রাজেডি’, ‘মোঘল সাম্রাজ্যের সোনালী সময়’, ‘পলাশী থেকে একাত্তর’, ‘ক্রুসেড’, ‘স্বর্ণযুগের মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার’, ‘স্নায়ুযুদ্ধ’, ‘মোঘল সাম্রাজ্যের পতন’, ‘অ্যাডলফ হিটলার’, ‘অটোমান সাম্রাজ্যের উত্থান’, ‘খোলাফায়ে রাশেদীন’সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক এবং ঐতিহাসিক বিষয়াবলীর বই নিয়েই সাহাদত হোসেন খান এর বই সমগ্র সমৃদ্ধ। এছাড়াও ‘আবার কি আমার পৃথিবীতে আসবে’, ‘চন্দ্র সূর্য আমার ভালোবাসার সাক্ষী’সহ বেশ কিছু কাব্যগ্রন্থও রচনা করেছেন তিনি।

এই লেখকের আরও বই
এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
০(০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন