বিশ্ববিদ্যালয় মানে কী? কীভাবে, কোথায়, কেন, কোন বিশেষ মূল্যবোধ ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার তাগিদে, কোন বিশেষ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে মধ্যযুগের ইউরোপে সূচনা হয়েছিল মানব-ইতিহাসে প্রাচীনতম এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম এই প্রতিষ্ঠানের, যার নাম University বা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা ও ক্রমবিকাশের প্রথম তিন শ বছরের (১২০০-১৪০০) এই আপাতসম্পূর্ণ ও সংক্ষিপ্ত ইতিহাসে অন্য হাজার বিষয়ের সঙ্গে এই প্রশ্নগুলোর এই প্রথম উত্তর মিলবে, বাংলা ভাষায়।
বইয়ের বিবরণ
সেনাবাহিনী ছাড়া মানব-ইতিহাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে প্রাচীনতর প্রতিষ্ঠান সম্ভবত আর নেই। আধুনিক সমাজে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। প্রথমত, শাসন, বিচার, দেশরক্ষাসহ রাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি অপরিহার্য ক্ষেত্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকেরা; দ্বিতীয়ত, জ্ঞানকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশে এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা সমধিক গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ দেশের প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি জড়িত রয়েছে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিবছর এ দেশে কয়েক লাখ ছাত্র সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিপরীক্ষা দেয়। চাহিদা যেহেতু তুঙ্গে, সেহেতু কয়েক দশক ধরে গড়ে উঠেছে শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়। যে প্রতিষ্ঠান এত গুরুত্বপূর্ণ, এতটাই চাহিদা যে প্রতিষ্ঠানের, সে প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস জানাটাও অপরিহার্য নয় কি? বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের আলোকে বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক ও নীতিনির্ধারকদের বিবেচনা করা দরকার ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে যে প্রতিষ্ঠানগুলো তাঁরা গড়ে তুলছেন সেগুলো আদৌ ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ হয়ে উঠছে কি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের কোনো আলোচনা বাংলা ভাষায় এ যাবৎ সুলভ ছিল না। ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ নামক প্রতিষ্ঠানটির সূচনা ও ক্রমবিকাশের (১২০০-১৪০০) প্রথম তিন শ বছরের এই আপাতসম্পূর্ণ, সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সেই তথ্য ও জ্ঞানঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে।
- শিরোনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস: আদিপর্ব
- লেখক শিশির ভট্টাচার্য্য
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৩০২২৪৭
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
শিশির ভট্টাচার্য্য
জন্ম ৪ আগস্ট, ১৯৬৩, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার কুমিরা গ্রামে। ভাষাবিজ্ঞানে পিএইচডি (২০০৭) করেছেন কানাডার মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্যারিসের সর্বোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাবিজ্ঞানে এমফিল (১৯৯৫) ও এমএ (১৯৯৪) এবং ইন্ডোলজিতে এমএ (১৯৮৮) করেছেন। পোস্টডক্টরেট গবেষণা করেছেন টোকিওর রাষ্ট্রভাষা ইনস্টিটিউটে (২০০৮-১০)। ভাষা ও ব্যাকরণ বিষয়ে দেশি ও বিদেশি জার্নালে প্রায় ৪০টি প্রবন্ধ বেরিয়েছে। বইয়ের মধ্যে রয়েছে সঞ্জননী ব্যাকরণ (১৯৯৮), অন্তরঙ্গ ব্যাকরণ (২০১৩), জার্মানি থেকে প্রকাশিত Word Formation in Bengali : A Whole Word Morphological Description and its Theoretical Implications (২০০৭), Basics of Language and Linguistics in a 100 question (২০১৬), বাংলা ভাষা: প্রকৃত সমস্যা ও পেশাদারি সমাধান (২০১৬), বাংলা ব্যাকরণের রূপরেখা (২০১৬)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও পরিচালক।