ভালোবাসায় বাড়ানো হাত
লেখক: মতিউর রহমান
বিষয়: মুক্তিযুদ্ধ, সংগীত, চলচ্চিত্র ও বিনোদন, সমাজ, ইতিহাস ও সংস্কৃতি, বইমেলা ২০২২
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি সুহৃদ—কবি-লেখক-শিল্পীরা নানাভাবে অবদান রেখেছেন। তাঁদের সহানুভূতি, সমর্থন ও সহযোগিতা সশস্ত্র লড়াইয়ে আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে, সাহস জুগিয়েছে। সেই মহাবিপর্যয়ের দিনগুলোতে তাঁদের সহমর্মিতার স্মৃতি আমরা কোনো দিন ভুলব না। এ বইয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের সেই অবদানের কথাই তুলে ধরা হয়েছে।
বইয়ের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধে আমাদের দেশের প্রায় সব লেখক-শিল্পী ও সংস্কৃতিসেবী অংশ নিয়েছিলেন। একইভাবে আন্তর্জাতিক পরিসরেও কবিতা লিখে ও পাঠ করে, গান গেয়ে, ছবি এঁকে ও সংহতি আন্দোলন গড়ে তুলে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন বিশ্বনন্দিত কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীরা। আর্জেন্টিনার খ্যাতনামা লেখক রবীন্দ্র প্রীতিধন্য ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো, নোবেলজয়ী মার্কিন কবি ও গায়ক বব ডিলান, গায়ক জর্জ হ্যারিসন, জোয়ান বায়েজ, কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ, রুশ কবি আন্দ্রেই ভজনেসেনস্কি, যুক্তরাজ্যের অস্কারজয়ী অভিনেত্রী গ্লেন্ডা জ্যাকসন এবং ভারতের পণ্ডিত রবিশঙ্কর, গায়ক ও সুরকার শচীন দেববর্মন, সলিল চৌধুরী, লতা মঙ্গেশকর, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক সত্যজিৎ রায়, শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন, কবি কাইফি আজমিসহ অনেকে যুদ্ধের সেই দিনগুলোতে আমাদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছিলেন, বাড়িয়েছিলেন ভালোবাসার হাত। এ বইয়ের লেখক মতিউর রহমান নানা সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে যুদ্ধের সেই দিনগুলোতে বিদেশি লেখক-শিল্পী বন্ধুদের অবদান বিশদভাবে তুলে ধরেছেন। সাধারণ পাঠকের কৌতূহল নিবৃত্তির পাশাপাশি লেখক-গবেষকদের জন্য বইটি এক আকরগ্রন্েথর মর্যাদা পাবে।
- শিরোনাম ভালোবাসায় বাড়ানো হাত
- লেখক মতিউর রহমান
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- প্রকাশের সাল 2022
- মুদ্রণ 1st
- বাঁধাই Hardcover
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

মতিউর রহমান
জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৪৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর। সম্পাদক ছিলেন সাপ্তাহিক ‘একতা’ (১৯৭০-৯১) ও ‘ভোরের কাগজ’ (১৯৯২-৯৮) পত্রিকার। বর্তমানে ‘প্রথম আলো’র সম্পাদক (১৯৯৮ সাল থেকে)। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: ‘আকাশভরা সূর্যতারা: কবিতা-গান-শিল্পের ঝরনাধারায়’, ‘ইতিহাসের সত্য সন্ধানে: বিশিষ্টজনদের মুখোমুখি’, ‘মুক্ত গণতন্ত্র রুদ্ধ রাজনীতি: বাংলাদেশ ১৯৯১-২০১৭’, ‘খাপড়া ওয়ার্ড হত্যাকাণ্ড ১৯৫০’। যৌথভাবে লিখেছেন ‘চে: বন্দুকের পাশে কবিতা’, ‘শহীদ নূর হোসেন’। উল্লেখযোগ্য সম্পাদনা: ‘বিদ্রোহী বর্ণমালা’, ‘আলতাফ মাহমুদ: এক ঝড়ের পাখি’, ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড: কে এম সফিউল্লাহ ও শাফায়াত জামিল বিতর্ক’, ‘জহির রায়হান: অনুসন্ধান ও ভালোবাসা’, ‘স্মৃতিতে অনুভবে আবুল হাসনাত’, ‘বঙ্গবন্ধু: শ্রদ্ধায় ভাবনায় স্মৃতিতে’, ‘শতবর্ষে সুভাষ মুখোপাধ্যায়: বাংলাদেশের শ্রদ্ধাঞ্জলি’, ‘১৯৭১: শত্রু ও মিত্রের কলমে’, ‘বিজয়ের মুহূর্ত ১৯৭১’, ‘সম্মুখযুদ্ধ ১৯৭১: মুক্তিযোদ্ধাদের কলমে’, ‘বাংলাদেশের নায়কেরা’। ফিলিপাইনের ম্যানিলা থেকে ‘সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও সৃজনশীল যোগাযোগ’-এ ২০০৫ সালে পেয়েছেন র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার।
আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন

রাজা মিয়া
০৫ Feb, ২০২৩ - ১১:২৩ PM
বইটির মূল বিষয়বস্তু হলো মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের বাইরে যে সকল লেখক শিল্পী ও সাধারণ মানুষ সমর্থন প্রদান করেছেন তাদের কৃতকর্ম তুলে ধরা। আর্জেন্টিনার খ্যাতনামা লেখক রবীন্দ্র প্রীতি ধন্য ভিক্টোরিয়া ও কাম্পো, নোবেল জয়ী মার্কিন কবি ও গায়ক বব ডিলান গায়ক জর্জ হ্যারিসন জোয়ান বায়েজ গিনসবার্গ রুশ কবি আন্দ্রই ভোজনেসেনস্কি, যুক্তরাজ্যের অস্কার জয়ী অভিনেত্রী গ্লেন্ডা জ্যাকসন এবং ভারতের পণ্ডিত রবিশঙ্কর গায়ক ও সুরকার সচীন দেব বর্মন সলিল চৌধুরী লতা মঙ্গশকর চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক সত্যজিৎ রায়, শিল্পী মকবুল ফিদা হোসেন কবি কাইফি আজমী সহ অনেকের যুদ্ধের সেই দিনগুলোতে আমাদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছিলেন বাড়িয়েছিলেন ভালবাসার হাত আশা করি বইটি পড়ে পাঠকগণ অনেক দূর্লভ তথ্যের সাথে পরিচিত হবে । #প্রথমা_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২০২৩