প্রথম আলোয় প্রকাশিত কাজী আনোয়ার হোসেনের গল্প, উপন্যাস, সাক্ষাৎকারসহ মোট ১৪টি রচনার সংকলন এই বইটি। পাঠক এই রচনাগুলোয় লেখকের জাদুকরি লেখার স্পর্শ তো পাবেনই, সেই সঙ্গে বিশেষত সাক্ষাৎকারগুলোর মধ্য দিয়ে এমন একজন কৌতূহলোদ্দীপক মানুষেরও মুখোমুখি হবেন, যিনি নিজেই ছিলেন মাসুদ রানা।
বইয়ের বিবরণ
কিংবদন্তিতুল্য ‘মাসুদ রানা’ চরিত্রের স্রষ্টা কাজী আনোয়ার হোসেন নিজেই কি ছিলেন মাসুদ রানা? দুঃসাহসী রানার মতোই পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি তাঁর বিশাল পাঠকগোষ্ঠীকে রহস্য-রোমাঞ্চের এক মায়াবী জগতে আটকে রেখেছিলেন। প্রথম আলোর পাতায়ও একাধিকবার তিনি তাঁর সম্মোহনী প্রতিভার জাদু ছড়িয়েছেন। শুরু থেকেই এই পত্রিকার লেখক তিনি। গল্প-উপন্যাস তো লিখেছেনই, এর বাইরেও তাঁর কয়েকটি ভিন্ন স্বাদের গদ্য এবং বেশ কটি সাক্ষাৎকার প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়েছে। সেসব রচনার এক অনুপম সংকলন এই বই। এটি আমাদের তরফে পাঠকপ্রিয় কাজীদার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্যও। বাংলা ভাষায় রহস্য-রোমাঞ্চ আর টান টান উত্তেজনায় পূর্ণ থ্রিলার এবং অন্য ধরনের চমকপ্রদ সব রচনার লেখক ও পরিকল্পক হিসেবে যে কাজী আনোয়ার হোসেনকে পাঠক চেনেন, তাঁর জাদুকরি লেখার স্পর্শ পাওয়ার পাশাপাশি রচনার পেছনের দুঃসাহসী ও নানা গুণের অধিকারী মানুষটিকে চেনারও সুযোগ করে দেবে এ বই।
- শিরোনাম আমিই মাসুদ রানা
- লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- প্রকাশের সাল 2022
- মুদ্রণ 1st
- বাঁধাই Hardcover
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

কাজী আনোয়ার হোসেন
জন্ম ১৯ জুলাই ১৯৩৬, ঢাকার সেগুনবাগিচায়। বাবা বিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক কাজী মোতাহার হোসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর। ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। প্রথম জীবনে পরিচিত ছিলেন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত তালাশ, সুতরাং সহ বিভিন্ন চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন। ১৯৬৩ সালে সেগুনবাগিচার এক ছোট ছাপাখানার মাধ্যমে তিনি এ দেশে থ্রিলার সাহিত্যের সূচনা করেন, শুরু হয় সেবা প্রকাশনীর যাত্রা। প্রথমে ‘কুয়াশা’ সিরিজ দিয়ে, তারপর ১৯৬৬-তে সৃষ্টি করেন বাংলাদেশের প্রথম গুপ্তচর চরিত্র ‘মাসুদ রানা’। প্রথম বই ধ্বংস পাহাড় থেকে এ পর্যন্ত জনপ্রিয় এই সিরিজে পাঁচ শর মতো বই বের হয়েছে। এ ছাড়া অজস্র বিদেশি ধ্রুপদি সাহিত্য অনুবাদ করেছেন তিনি। রহস্য পত্রিকা ও কিশোর পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও ছিলেন খ্যাতিমান। বিদ্যুৎ মিত্র ও শামসুদ্দীন নওয়াব ছদ্মনামেও লিখেছেন। তবে তাঁর পাঠকদের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘কাজীদা’ নামে। শেষজীবনে ক্যানসারে আক্রান্ত হন। ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।