‘পরমান্ন যেমন মিষ্টি ছাড়া হতে পারে না, রসগোল্লা যেমন বিনা রসে তৈরি হওয়া অসম্ভব, মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্পের সঙ্গে তেমনি মিশে থাকে অনিবার্য কৌতুক।’
সত্যজিৎ রায়
বইয়ের বিবরণ
বিশ্বব্যাপী হাস্যরসাত্মক লোকসাহিত্যে হোজ্জা সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র। হোজ্জার গল্পগুলোতে তাঁকে কখনো খুব চালাক, জ্ঞানী, শিক্ষিত বা দার্শনিক মনে হয়, আবার কখনো তাঁকে মনে হয় একেবারে বোকার হদ্দ। তবে শেষ বিচারে প্রতিটি গল্পেই থাকে হাসির খোরাক।
হোজ্জার গল্পগুলোকে একেবারে সাদামাটা হাসির গল্পও বলা যাবে না। সাধারণ হাসির গল্পের চেয়ে এর স্বাদ আরেকটু বেশি। গল্পগুলো হাসির, কিন্তু কখনো কখনো তা পাঠকের চিন্তাকে নাড়া দেয়।
গল্পগুলোতে হোজ্জাকে সব সময় স্পষ্টবাদী হিসেবে দেখা যায়। তিনি কখনো বাদশাহ বা জমিদারকে বোকা বানাচ্ছেন, আবার সাধারণ মানুষকেও ছাড় দিচ্ছেন না। গল্পে তাঁকে সব সময়ই পাওয়া যায় দরিদ্র ও সাধারণ মানুষের পাশে; অত্যাচারী বাদশাহ, জমিদার, লোভী ও কৃপণ বড়লোকদের বিরুদ্ধে।
গল্পগুলোর অন্যান্য চরিত্রেও আছে বৈচিত্র্য। ফকির থেকে বাদশাহ, শিশু থেকে বৃদ্ধ, কৃষক, সৈনিক—সব শ্রেণি-পেশা ও বয়সের মানুষ গল্পগুলোকে প্রাণময় করে তুলেছে।
- শিরোনাম নাসিরুদ্দিন হোজ্জার আরও ১০০ গল্প
- লেখক মুহাম্মদ লুৎফুল হক
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৩০০১২০
- প্রকাশের সাল ২০২৪
- মুদ্রণ 5th
- বাঁধাই হার্ডকবার
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ৭৮
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
মুহাম্মদ লুৎফুল হক
জন্ম ১৯৫৫, দিনাজপুরে। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পান। ২০০৫ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। প্রকাশিত গবেষণাগ্রন্থ: স্বাধীনতাযুদ্ধের বীরত্বসূচক খেতাব (২০০৬), বাঙালি পল্টন: ব্রিটিশ ভারতের বাঙালি রেজিমেন্ট (২০১২), সৈনিক নজরুল (২০১৩), মোহাম্মদ আলীর বাংলাদেশ বিজয় (২০১৬)। সম্পাদনা: রাজশাহী ১৯৭১ (যৌথ ২০১২), কামালপুর ১৯৭১ (২০১২), দিনাজপুর ১৯৭১ (২০১৩), মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টর এবং কে ফোর্স (২০১৩)।