তাকওয়া শব্দটি পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন
কোথাও ভয় অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন, আল্লাহ ইরশাদ করেছেন
আর তোমরা কেবল আমাকেই ভয় কর। [সূরা বাকারা, ৪১]
অন্যত্র তিনি ইরশাদ করেছেন
আর তোমরা সেই দিনকে ভয় কর, যেদিন তোমাদের আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। [সূরা বাকারা, আয়াত নং ২৮১]
অর্থাৎ সেই দিন এবং সেই দিনে যা কিছু ঘটবে, তাকে ভয় কর।
অন্য এক আয়াতে তিনি ইরশাদ করেছেন
আর তারা সেই দিনকে ভয় করে, যার অকল্যাণ হবে সুবিস্তৃত। [সূরা দাহর, আয়াত নং ৭]
ইবনে রজব বলেন, তাকওয়া শব্দটিকে কখনও আল্লাহর নামের সাথে সম্বন্ধযুক্ত করা হয়। যেমন, এক আয়াতে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন
আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর কাছে তোমাদের একত্র করা হবে। [সূরা মায়িদা, আয়াত নং ৯৬]
তাকওয়া শব্দটিকে যখন আল্লাহ-র দিকে সম্বন্ধিত করা হবে, তখন তার অর্থ হবে- তোমরা আল্লাহর রাগ গোস্বা অসন্তুষ্টি ও ক্রোধকে ভয় কর। কেননা, আল্লাহর অসন্তুষ্টি ও ক্রোধই হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ের বিষয়। একেই সবচেয়ে বেশি ভয় করা উচিত। এর কারণেই দুনিয়া-আখেরাতে শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। এ ব্যাপারে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন
আর আল্লাহ তোমাদের তাঁর নিজের ব্যাপারে সতর্ক করছেন। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং ২৮]
আল্লাহ আরও ইরশাদ করেছেন
তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং ক্ষমার অধিকারী। [সূরা মুদ্দাসসির, আয়াত নং ৫৬]
অতএব, আল্লাহ-ই ভয়-শঙ্কা ও আযমত-বড়ত্বের অধিকারী। বান্দার অন্তরে তাঁরই মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব বিরাজিত থাকবে।
এ সম্পর্কেই বইটিতে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে ...
বইয়ের বিবরণ
- শিরোনাম পরহেজগার হোন
- লেখক শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
- প্রকাশক হুদহুদ প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৮৭৯৮৪৮১৭১২৪
- প্রকাশের সাল ২০২১
- মুদ্রণ 1st Published
- বাঁধাই হার্ডকভার
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ৯৬
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।