আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে পিতার হুকুমই সব। নারীর মর্যাদা পুরুষতন্ত্রের নিগড়ে দলিত। এই পিতৃতন্ত্র অনেক পুরোনো এবং আমাদের সমাজ ও বিশ্বপরিসরে এখনো অক্ষুণ²। এ বইয়ে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী পিতৃতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বলেছেন নারী ও পুরুষের সাম্যের কথা। তার পথনির্দেশও করেছেন অনুপম স্বচ্ছন্দ ভাষায়।
বইয়ের বিবরণ
ধর্ম, সমাজ ও রাষ্ট্রের রে®্র¬ রন্ধ্রে পিতৃতান্ত্রিকতা। পিতৃ-হুকুমই সবকিছুর চালিকাশক্তি। ফলে সমাজের অর্ধাংশ যে নারী, সেই নারীর মর্যাদা পুরুষতান্ত্রিকতার নিয়ম ও হুকুমের নিগড়ে দলিত। তার হাত-পা বাঁধা সেই পুরুষসৃষ্ট হুকুম ও হুকুমতের বেড়াজালে। এই প্রাচীন পিতৃতান্ত্রিকতার ধারাবাহিকতা শুধু আমাদের সমাজেই নয়, বিশ্বপরিসরজুড়েও এখনো অক্ষুণ²। মনস্বী প্রাবন্ধিক ও চিন্তক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী পিতার হুকুম গ্রন্েথ সেই পিতৃতান্ত্রিকতার অবলোপের কথা বলেছেন। বলেছেন পুরুষ ও নারীর সাম্যের কথা। সেই সাম্যের পথনির্দেশও করেছেন তিনি যুক্তির জাল বিস্তার করে তাঁর অনুপম স্বচ্ছন্দ ভাষাভঙ্গির সাহাঘ্যে। এ বইয়ের পাঠ মানেই অন্ধকার মনে আলোকবর্তিকার প্রজ্বালন।
- শিরোনাম পিতার হুকুম
- লেখক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯২৭৪৩৩৯
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
জন্ম ২৩ জুন ১৯৩৬, বিক্রমপুরের বাড়ৈখালী। শিক্ষাজীবন কেটেছে রাজশাহী, কলকাতা ও ঢাকায়; পরে ইংল্যান্ডের লিডস ও লেস্টারে। ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। ২০০৮ সালে ইমেরিটাস প্রফেসর হিসেবে স্থায়ী হন। প্রধানত প্রবন্ধ লেখেন। গল্প-উপন্যাস লিখেছেন, অনুবাদও করেছেন। বইয়ের সংখ্যা প্রায় এক শ। নিয়মিত সম্পাদনা করছেন ত্রৈমাসিক নতুন দিগন্ত। ওসমানী উদ্যান, লালনের আখড়া এবং আড়িয়াল বিল রক্ষা আন্দোলনসহ অনেক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।