এ ফায়ার অব ফোর্থ সেঞ্চুরি

লেখক: জিমি তানহাব

বিষয়: রহস্য–রোমাঞ্চ, গোয়েন্দা ও ভৌতিক

৪১২.৫০ টাকা ২৫% ছাড় ৫৫০.০০ টাকা

বইয়ের বিবরণ

<p> <b>"এ ফায়ার অব ফোর্থ সেঞ্চুরি" বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথা:</b>

প্রায় ষােলশ বছর পূর্বে, স্পার্টায় বাস করত মিসরীয় বংশােদ্ভূত অনিন্দ্য সুন্দরী তরুণী অ্যালেক্সান্দ্রা, যে বয়ে বেড়াচ্ছিল দেবতা প্রমিথিউসের অভিশাপ। অ্যালেক্সান্দ্রা যখন মায়ের গর্ভে তখন এক 'পুরােহিত তার মাকে সতর্ক করে বলেছিল, পূর্ণিমা রাত তার অনাগত সন্তানের জন্য অশুভ। এ রাতে যেন তাকে দুগ্ধস্নান করানাে হয় এবং বাইরে বের হতে না দেয়া হয়। ষােল বছর অন্যথা হয়নি এ নিয়মের। যদিও একটা সময় ভাগ্য অ্যালেক্সান্দ্রাকে নিয়ে যায় এক নির্জন দ্বীপে। যে দ্বীপে সে একা নয়, আটকা পড়েছিল আরও পনের-ষােল জন স্পার্টান। যাদের মধ্যে রয়েছে এক ভাগ্যবিড়ম্বিত যুবক ফিদেল। মেয়েজামাতা রূপে তাকে পছন্দ করেছিল অ্যালেক্সান্দ্রার বাবা।<br>
গ্রিস হতে রােমে ফেরার পথে এক রাজজাহাজ তাদের দেখে উদ্ধারে এগিয়ে আসে, যে জাহাজে ছিল স্বয়ং রােমান যুবরাজ। যার বাগদত্তাকে রােমের হিতার্থে বিসর্জন দিতে চায় প্যাগান পুরােহিতরা বাধা হয়ে দাঁড়ায় যুবরাজ। পুরাে রােম জনতা চলে যায় তার বিপক্ষে। বিপক্ষে চলে যায় সিনেট, এমনকি সর্বদা ছায়াতুল্য পিতাও। বাধ্য হয়ে নিজ সৈন্যদের বিরুদ্ধে তরবারি ওঠাতে হয় তাকে। অথচ যারা কিনা সর্বদা তার নেতৃত্বে যুদ্ধে নেমেছিল। শেষ পর্যন্ত সাম্রাজ্য, সিংহাসন সব ত্যাগ করে বাগদত্তাকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়। চিহ্নিত হয় সাম্রাজ্যদ্রোহী রূপে। চিরকালের জন্য রুদ্ধ হয়ে যায় রােমে ফেরার পথ। কিন্তু যাকে বাঁচাতে রােম ত্যাগ করতে হয়েছিল। আবার তাকে বাঁচাতেই রােমে ফিরে আসতে হয় যুবরাজকে। তারপর....!!!!<br>
যুদ্ধ, মিথ, বীরত্ব, প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং আত্মত্যাগের এক শ্বাসরুদ্ধকর উপাখ্যান- ‘এ ফায়ার অব ফোর্থ সেঞ্চরি’ 
 </p>

  • শিরোনাম এ ফায়ার অব ফোর্থ সেঞ্চুরি
  • লেখক জিমি তানহাব
  • প্রকাশক ঐতিহ্য
  • আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৭৭৬৪০০৯
  • প্রকাশের সাল ২০১৮
  • মুদ্রণ 1st Published, 2018
  • পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩২৭
  • দেশ বাংলাদেশ
  • ভাষা বাংলা

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

এই লেখকের আরও বই
এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
৪(১)
  • (০)
  • (১)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন

বিনিয়ামীন পিয়াস

১০ Mar, ২০২৩ - ১২:৫৪ AM

বুক রিভিউ: এ ফায়ার অব ফোর্থ সেঞ্চুরি লেখক: জিমি তানহাব প্রকাশনী: ঐতিহ্য মুদ্রিত মূল্য: ৫৫০৳ কাহিনী সংক্ষেপ: প্রায় ষোলশ বছর পূর্বে, স্পার্টায় বাস করত মিসরীয় বংশোদ্ভূত অনিন্দ্য সুন্দরী তরুণী অ্যালেক্সান্দ্রা, যে বয়ে বেড়াচ্ছিল দেবতা প্রমিথিউসের অভিশাপ। অ্যালেক্সান্দ্রা যখন মায়ের গর্ভে তখন এক পুরোহিত তার মাকে সতর্ক করে বলেছিল, পূর্ণিমা রাত তার অনাগত সন্তানের জন্য অশুভ। এ রাতে যেন তাকে দুগ্ধস্নান করানো হয় এবং বাইরে বেরুতে না দেয়া হয়। ষোল বছর অন্যথা হয়নি এ নিয়মের। যদিও একটা সময় ভাগ্য অ্যালেক্সান্দ্রাকে নিয়ে যায় এক নির্জন দ্বীপে। যে দ্বীপে সে একা নয়, আটকা পড়েছিল আরও পনের – ষোল জন স্পার্টান। যাদের মধ্যে রয়েছে এক ভাগ্যবিড়ম্বিত যুবক ফিদেল। মেয়েজামাতা রূপে তাকে পছন্দ করেছিল অ্যালেক্সান্দ্রার বাবা। গ্রীস হতে রোমে ফেরার পথে এক রাজজাহাজ তাদের দেখে উদ্ধারে এগিয়ে আসে, যে জাহাজে ছিল স্বয়ং রোমান যুবরাজ। যার বাগদত্তাকে রোমের হিতার্থে বিসর্জন দিতে চায় প্যাগান পুরোহিতরা। বাধা হয়ে দাঁড়ায় যুবরাজ। পুরো রোম জনতা চলে যায় তার বিপক্ষে। বিপক্ষে চলে যায় সিনেট, এমনকি সর্বদা ছায়াতুল্য পিতাও। বাধ্য হয়ে নিজ সৈন্যদের বিরুদ্ধে তরবারি ওঠাতে হয় তাকে। অথচ যারা কিনা সর্বদা তার নেতৃত্বে যুদ্ধে নেমেছিল। শেষ পর্যন্ত সাম্রাজ্য, সিংহাসন সব ত্যাগ করে বাগদত্তাকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পা বাড়ায় যুবরাজ। চিহ্নিত হয় সাম্রাজ্যদ্রোহী রূপে। চিরকালের জন্য রুদ্ধ হয়ে যায় রোমে ফেরার পথ। কিন্তু যাকে বাঁচাতে রোম ত্যাগ করতে হয়েছিল আবার তাকে বাঁচাতেই রোমে ফিরে আসতে হয় যুবরাজকে। তারপর.. পাঠ প্রতিক্রিয়া: "এ মিস্ট্রি অব ফোর্থ সেঞ্চুরি"র সিক্যুয়েল বলা যায় বইটিকে। আবারো সেই ইথান, তবে এবার ইথান মিরিউলাস নয়, গল্পের মূল চরিত্র ইথান অরিটাস। আবারো সেই রোমান সাম্রাজ্য, চতুর্থ শতকের গল্প। লেখিকার প্রথম বই পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম, কিন্তু সেই মুগ্ধতাও ফিকে হয়ে গিয়েছে এই বইটি পড়ার পর যতটা মুগ্ধ হয়েছি তার কাছে! আমি সবসময়ই বলি উপন্যাসের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে চরিত্রের চিত্রায়ণ। আর এবারেও ঠিক আগের মতই দারুণভাবে চরিত্রের চিত্রায়ণ করেছেন লেখিকা। শুরুর দিকে মনে হচ্ছিল, প্রথম উপন্যাসের গল্পের মতোই কিছু ঘটতে যাচ্ছে হয়তো। কিন্তু সেই ভুল ভাঙতেও খুব বেশি সময় লাগেনি। ইথান অরিটাস যে ইথান মিরিউলাসের ছায়া নয়, বরং সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি চরিত্র দ্রুতই তা বুঝতে পেরেছি। আলেক্সান্দ্রা এবং অ্যালেক্স দুই চরিত্রের মিল এই যে দুজনেই গল্পের নায়িকা। এছাড়া এই দুই চরিত্রের মধ্যে তেমন কোনো মিল নেই। পার্শ্বচরিত্রগুলোর মধ্যে সানভীর, ফিদেল উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসটি হিস্টোরিক্যাল ফিকশন জনরার হলেও, এটিকে মূলত রোম্যান্সধর্মী উপন্যাসও বলা যায়। ইথান অরিটাস এবং আলেক্সান্দ্রার মধ্যকার স্বর্গীয় প্রেমকে লেখিকা জীবন্ত করে তুলেছেন ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে। এখানে ভালোবাসা, বিরহ, মান-অভিমান সবই আছে। ইথানের ব্যাক্তিত্বে যেমন মুগ্ধ হয়েছি, তেমনি তার নিষ্ঠুরতায় আঘাতও পেয়েছি। নিষ্পাপ আলেক্সান্দ্রার সরলতা যেকোনো পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যেতে বাধ্য। উপন্যাসটি সবচেয়ে বেশি উপভোগ্য হয়েছে কাহিনীর বৈচিত্র্যময়তার কারণে। দারুণ সব বিচিত্র মোড় নিয়ে ঘটনা এমনভাবে এগিয়েছে যে মুগ্ধ না হয়ে উপায় ছিল না। উপন্যাসে ছিল যুদ্ধ, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, ধর্মীয় কুসংস্কার, বিশ্বাসঘাতকতা এবং এসবকিছুর মাঝেও ত্রিভুজ প্রেম। ত্রিভুজ প্রেম বললেও কম বলা হবে, মূলত পুরো উপন্যাস জুড়ে ছিল বহুভুজ প্রেম! লেখিকা "সব ভালো তার, শেষ ভালো যার" প্রবাদটির স্বার্থকতা আরো একবার প্রমাণ করেছেন। একদিকে সবকিছু ফিরে পাওয়া, অন্যদিকে সবকিছু হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা কেমন হতে পারে তা আমার জানা নেই, তবে লেখিকার লেখনীর দ্বারা কিছুটা উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি। সবমিলিয়ে মূল্যায়ন করলে আমি বলব, অসাধারণ একটি বই। বইটি আমি দারুণ উপভোগ করেছি। এবং উপন্যাসের শেষে উপলব্ধি করেছি যে আমি বইয়ের চরিত্রগুলোর মায়ায় আটকে গিয়েছি৷ উপন্যাস শেষ হওয়ার পরও দীর্ঘক্ষণ গল্পের রেশ হৃদয়ে গেঁথে ছিল। বড় কলেবরের হলেও, গল্পের গতিময়তা এবং থিম পাঠককে এতোটাই আকৃষ্ট করবে যে এক বসাতেই শেষ করতে বাধ্য হবে! দীর্ঘদিন মনে রাখার মতো একটি দারুণ এক উপন্যাস। #প্রথমাডটকম_কথাপ্রকাশ_বই_রিভিউ_প্রতিযোগিতা