পরাগ ও ভুতুরে শহর
লেখক: শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
বিষয়: শিশু-কিশোর সাহিত্য, ৭০% ছাড়ের বই, বেশি ছাড়ের বই
প্রবল উত্তেজনা নিয়ে চাবিটা বাক্সের কি-হোলে ঢোকাল পরাগ। ডালা তুলতেই ধোঁয়ার মতো কী যেন বেরোল। একটা শব্দও হলো, যেন কোথাও কোনো ভারী একটা দরজা খুলে গেল। সত্যিই কি খুলে গেল অন্য কোনো ভুবনের দরজা? সাইকেল নিয়ে আসে শিবলি নামের যে ছেলেটা, সে আসলে কে? ভোলপুর বলে সত্যিই কি পুরোনো কোনো ভুতুড়ে শহর আছে? সেখানে গেলে কি আর ফিরে আসা যায়?
বইয়ের বিবরণ
বাড়িটার নাম বড় অদ্ভুত! নিঝুমপুরী। পরিবেশও তেমন—একেবারে নিজ্ঝুম। এমন বাড়িতে ঢাকা থেকে নয়নপুরে আসা পরাগের একলা লাগারই কথা। এর মধ্যে জট পাকাল একটা কাঠের বাক্স আর অনেক পুরোনো একটা ডায়েরি। ডায়েরিটা শিবলি মুরাদ নামের একটি ছেলের। রহস্যময় তার আনাগোনা। শিবলির ডায়েরিতে লেখা রয়েছে বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ভোলপুরের কথা। এই নয়নপুরের পাশেই নাকি ছিল শহরটা। একটা শহর আবার হারিয়ে যায় কী করে?
সহপাঠী ফাহিম সন্ধান দিল হারিসউদ্দিন নামের আজব এক বুড়োর। তিনি নাকি নিঝুমপুরীর সব ঘটনা জানেন। রহস্যের টানে উতলা পরাগ হাজির হলো হারিসউদ্দিনের বাড়িতে। রোমাঞ্চকর এক কাহিনি বলতে শুরু করলেন হারিসউদ্দিন। গল্পের শেষে এমন কিছু ঘটল, ভয়ে পালাতে শুরু করল পরাগ। সাইকেলে সবেগে প্যাডেল মারতে মারতে পৌঁছে গেল অন্য কোথাও...!
- শিরোনাম পরাগ ও ভুতুরে শহর
- লেখক শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
জন্ম ঢাকায়, ১৯৬৫ সালে। সমাজকল্যাণে এমএসএস। নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে লিখছেন। গল্প, উপন্যাস, ফিচার ও বিশ্লেষণধর্মী লেখা লেখেন। সবার জন্য লিখলেও ছোটদের জন্য লেখার পাল্লাই ভারী। উল্লেখযোগ্য বই: বিড়ালের মমি, খিলটুসের খপ্পরে, পেত্নির মেয়ে গুলগুলা, পটলভাইয়ের টার্টল মিশন, তিতলির কানচোর, পরীক্ষার মন্ত্র, ড্রাকুলার বংশধর, পুতুল রহস্য, বিলের ধারে নীল ভূত, হাতি নিয়ে হইচই, জাদুজাল, জলপরির বাচ্চা। অনুবাদ: লর্ড অব দ্য ফ্লাইজ, হার্ট অব ডার্কনেস, হেউডি, সাত সাগরে সিন্দবাদ।