দ্য থিওরি অব এভরিথিং: মহাবিশ্বেও জন্ম এবং শেষ পরিণতি
লেখক: স্টিফেন হকিং, আবুল বাসার
বিষয়: গণিত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিংশ শতাব্দীতে মানবজাতির বুদ্ধিবৃত্তিক দুটি মহান আবিষ্কার আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব এবং কোয়ান্টাম মেকানিক্স। নিজ নিজ ক্ষেত্রে পরীক্ষা থেকে শুরু করে ব্যবহারিক বিচারে দুটি তত্ত্বই চরমভাবে সফল। তবে দুটি তত্ত্বই একইসঙ্গে সঠিক হতে পারে না; অন্তত তাদের বর্তমান রূপে। তাই বিজ্ঞানীরা এখন নতুন এক তত্ত্বের খোঁজে মাঠে নেমেছেন, যে তত্ত্ব দিয়ে বিপুল পরিসরের মহাবিশ্ব আর ক্ষুদ্র পরিসরের পরমাণুকে একই সঙ্গে ব্যাখ্যা করা যাবে। এ তত্ত্বেরই পোশাকি নাম ‘থিওরি অব এভরিথিং’ বা সার্বিক তত্ত্ব। কিন্তু কেমন হবে বহু প্রত্যাশিত সেই তত্ত্বটি? এ বইতে সেই উত্তর খুঁজেছেন পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং।
বইয়ের বিবরণ
মানবজাতির বুদ্ধিবৃত্তিক দুটি মহান আবিষ্কার আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব এবং কোয়ান্টাম মেকানিক্স। প্রথমটির কাজ মহাকর্ষ, স্থানকাল তথা মহাবিশ্বের বৃহৎ পরিসর নিয়ে। দ্বিতীয়টি কাজ করে অতিক্ষুদ্র পরমাণুর গহন রাজ্যে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে পরীক্ষা থেকে শুরু করে ব্যবহারিক দিকে দুটি তত্ত্বই সফল। তবে দুটি তত্ত্ব একইসঙ্গে সঠিক হতে পারে না, অন্তত তাদের বর্তমান রূপে। কিন্তু এ দুটিকে একত্রিত করে একটি পূর্ণাঙ্গ তত্ত্ব পেতে পদার্থবিদদের একাধিক চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। স্ট্রিং থিওরিকে একসময় এমনই এক পূর্ণাঙ্গ তত্ত্ব বলে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু এ তত্ত্ব থেকে পাওয়া কোনো ভবিষ্যদ্বাণী এখনো বাস্তব পরীক্ষায় প্রমাণ করা যায়নি। ভবিষ্যতেও সে সম্ভাবণা ক্ষীণ বলেই বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা। তাই এখন নতুন এক তত্ত্বের খোঁজে মাঠে নেমেছেন তাঁরা, যা দিয়ে বিপুল পরিসরের মহাবিশ্ব ও ক্ষুদ্র পরিসরের পরমাণুর রাজ্যকে একসুতোয় গাঁথা যাবে। এ তত্ত্বেরই পোশাকি নাম থিওরি অব এভরিথিং। কিন্তু কেমন হবে বহু প্রত্যাশিত সেই তত্ত্ব? কী করা যাবে সে তত্ত্ব দিয়ে? তাতে কী এই মহাবিশ্বের সব রহস্যের জবাব পাওয়া যাবে? এ বইতে এসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজেছেন তাত্ত্বিক পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং। আকারে ক্ষীণ, বক্তব্যে সংক্ষিপ্ত হলেও যা গুরুত্ব ও তাৎপর্যে বিপুল।
- শিরোনাম দ্য থিওরি অব এভরিথিং: মহাবিশ্বেও জন্ম এবং শেষ পরিণতি
- লেখক স্টিফেন হকিং, আবুল বাসার
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৩১৮৮৮০
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
স্টিফেন হকিং
জন্ম ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডে। বিজ্ঞানে আবিষ্কারের নতুন দিগন্ত যেমন তিনি খুলে দিয়েছেন, তেমনি জটিল বিষয়গুলো সাধারণ পাঠকদের কাছে সহজ ভাষায় তুলে ধরেছেন জনপ্রিয় ধারার বই লিখে। সেখানেও সফলতার প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম বইটি প্রকাশের পর। লন্ডন সানডে টাইমস-এ এটি টানা ২৩৭ সপ্তাহ বেস্ট সেলার তালিকায় থেকেছে। তিনি বিজ্ঞান নিয়ে লিখেছেন আরও কিছু বই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সময়েই হকিংয়ের দুরারোগ্য মোটর নিউরন রোগ ধরা পড়ে। সেসময় চিকিৎসকেরা তাঁর আয়ু মাত্র দু’বছর বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু অদম্য মানসিক শক্তির জোরে তিনি পড়ালেখা ও গবেষণা চালিয়ে যান। দৈহিক অক্ষমতা জয় করে একসময় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের লুকাসিয়ান অধ্যাপক হিসেবে টানা ৩০ বছর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৪ সালে তাঁকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। নাম দ্য থিওরি অব এভরিথিং।
আবুল বাসার
জন্ম ১৯৭৭, পাবনায়। পড়ালেখা শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। পেশা সাংবাদিকতা। একসময় মাসিক কিশোর আলো সম্পাদনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন দেশের জনপ্রিয় বিজ্ঞানবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে। এর পাশাপাশি বিজ্ঞানবিষয়ক বেশ কিছু মৌলিক বই লিখেছেন। অনুবাদও করেছেন বিশ্বসেরা কয়েকটি বিজ্ঞানের বইয়ের। ইতিমধ্যে তাত্ত্বিক পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংয়ের ছয়টি বই অনুবাদ করেছেন। এর পাঁচটিই প্রকাশ করেছে প্রথমা প্রকাশন। বইগুলো হলো : দ্য থিওরি অব এভরিথিং, মাই ব্রিফ হিস্ট্রি, ব্রিফ আনসারস টু দ্য বিগ কোয়েশ্চেনস (বড় প্রশ্ন, ছোট উত্তর), দ্য ইউনিভার্স ইন আ নাটশেল এবং ব্ল্যাকহোল। অনুবাদ করেছেন পদার্থবিদ মিচিও কাকুর লেখা বেস্টসেলার বই ফিজিকস অব দ্য ইমপসিবল, প্যারালাল ওয়ার্ল্ডস এবং দ্য গড ইকুয়েশন। জ্যোতিঃপদার্থবিদ নীল ডিগ্র্যাস টাইসনের অনূদিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাস্ট্রোফিজিকস: সহজ পাঠ। বইগুলো ব্যাপক পাঠক সমাদৃত।