মঈনুস সুলতানের এবারের ভ্রমণ হেঁটে। যুক্তরাষ্ট্রের বনবনানীতে ভ্রমণকালে কত মানুষের দেখা মেলে, পরিচয় ও অন্তরঙ্গতা গড়ে ওঠে। শুরুতে লেখকের পথসঙ্গী ইফফতের গল্প আর সংশয়ে বিক্ষত হন লেখক। ক্যানসারে মরণাপন্ন রেড ইন্ডিয়ান নারী মিমোজা ও তাঁর পুরুষসঙ্গী পাঠককে নিয়ে যায় প্রকৃতিলগ্ন জীবনের মধ্যে। ভার্জিনিয়ায় যাওয়ার পথে কম্পোডিয়ার খেমার বংশোদ্ভূত স্ট্রিপার গার্ল চম্পো বর্ণনা করে নিজের করুণ গল্প। শ্যানানডোয়ার বনানী আর ওল্ডর্যাগ পাহাড়ের চূড়ায় যেতে যেতে প্রজাপতি পোষা পুরুষ আর্থার ওয়েসলি ও পায়ে উল্কি আঁকা নারী বিয়াত্রিসের সঙ্গ ও গল্প পাঠককে আবিষ্ট করে রাখবে।
বইয়ের বিবরণ
এই ভ্রমণগল্পের শুরু রবার্ট ফ্রস্ট ট্রেইলে হাইকিংয়ের মাধ্যমে। লেখকের পথসঙ্গী ইফফত একসময় তার জননীর প্রেমিকের সঙ্গে গড়ে তুলেছিল অন্তরঙ্গ সম্পর্ক, যার সংঘাতে বিক্ষত হন লেখক। হাল ছাড়েন না তিনি, তুষার হাইকে অবশেষে পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেন ক্যানসারে মরণাপন্ন নেটিভ আমেরিকান নারী মিমোজা ও তাঁর পুরুষ সুহৃদ কেলভিনের সঙ্গে। তাঁদের গাইডেন্সে লিপ্ত হন ড্রিম ওয়াকে। পরবর্তী পর্বে ভার্জিনিয়ায় যাওয়ার পথে কার ব্রেকডাউন হলে—কাকতালীয়ভাবে যোগাযোগ ঘটে, খেমার বংশোদ্ভূত স্ট্রিপার গার্ল চম্পো ও তার প্যাট্রন ইসরায়েলের তরফে লবি করা মি. গোল্ডস্টিনের সঙ্গে। বার্কলেকে তাঁবু খাটিয়ে রাত যাপন করে পাঠককে নিয়ে ঢুকে পড়েন শ্যানানডোয়ার সংরক্ষিত বনানীতে। এরপর উঠে পড়েন ওল্ডর্যাগ পাহাড়ের চূড়ায়। নেমে আসার পথে দেখা হয় হাইকিং করছে এমন এক যুবকের সঙ্গে, যে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য খুঁজছে খনিজ পাথর। শেষ পর্বে লেখক হাজির হন অরণ্যে পদব্রজে ঘুরে বেড়ানো হাইকারদের এক মাহফিলে। সেখানে পরিচয় করিয়ে দেন প্রজাপতি পোষা পুরুষ আর্থার ওয়েসলি ও পায়ে উল্কি আঁকা নারী বিয়াত্রিসের সঙ্গে।
- শিরোনাম রবার্ট ফ্রস্ট ট্রেইলের সোনালি পরাগ
- লেখক মঈনুস সুলতান
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৩১৮৯৯৬
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
মঈনুস সুলতান
জন্ম ১৯৫৬ সালে, সিলেট জেলার ফুলবাড়ী গ্রামে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিষয়ে পিএইচডি। খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস এবং স্কুল অব হিউম্যান সার্ভিসেস-এর। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আফ্রিকার ভিজিটিং স্কলার ছিলেন। শিক্ষকতা, গবেষণা ও কনসালট্যান্সির কাজে বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন। বর্তমানে সিয়েরা লিওনে বাস করছেন। প্রথমা প্রকাশন থেকে বেরিয়েছে তাঁর আরও ছয়টি ভ্রমণগল্পের বই কাবুলের ক্যারাভান সরাই, জিম্বাবুয়ে: বোবা পাথর সালানিনি, নিকারাগুয়া: সমোটো ক্যানিয়নে গাবরিয়েলা, সোয়াজিল্যান্ড: রাজা প্রজা পর্যটক, ঈদের সোনালি ইগল ও আকাশরাজ্য । প্রথম আলো বর্ষসেরা বইয়ের পুরস্কার ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।