যেকোনো উন্মুখতার ভেতরে একটি বাতিঘর থাকে। আমার আলোহীন বাতিঘরে হেঁটে চলা হাওয়াতেই কেঁপে ওঠা ভাঙা হারিকেন: বোবা সমাধির বিষণ² চোখ। তার কান্নার আলোতে ভাঁটফুলগাছে ফোটে বর্ণহীন ফুল—চুক্তিহীন, যুক্তিহীন তোমাকে চাওয়া...
বইয়ের বিবরণ
সালেহীন শিপ্রার কবিতার পঙ্ক্তি উন্মোচন করে এক মগ্নপৃথিবীর বিভা, ‘আমি এখন পদ্মপুকুর, আমিই এখন জল/ আমার বুকে বৃষ্টি, আমি বৃষ্টিতে টলমল’। তাঁর প্রকাশ্য হওয়ার আগে বইয়ে যে সম্ভাবনা দ্যুতিময়, তার মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্য আছে, হাজির আছে নানা ছন্দের বিচিত্র কারুকাজও।
শিপ্রার কবিতায় নাগরিক স্পষ্টতার সঙ্গে প্রাকৃতিক মায়া, বাহিরের সঙ্গে ভেতরের স্পন্দন তৈরি করে একটা ঐকতান। ‘মেঘের বরাতে বলি—/ঝরে পড়ার সাহস হলো না বলেই ভাসছি,/ এখনো...।’
—এভাবে অনুভূতির বর্ণময় জগতে পাঠককে পৌঁছে দেন তিনি। নবীন এ কবির কবিতা পড়তে পড়তে আমরা হাঁটতে থাকি অপরূপ মাতাল জগতে, যেখানে আছে বেপথু আলোর রশ্মি আর নৈঃশব্দে্য মুখরিত শান্তি।
- শিরোনাম প্রকাশ্য হওয়ার আগে
- লেখক সালেহীন শিপ্রা
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯২৭৪২৫৪
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
সালেহীন শিপ্রা
জন্ম ২০ ডিসেম্বর ১৯৮৯, জামালপুর জেলার বানিয়াবাড়ি গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর। ‘প্রকাশ্য হওয়ার আগে’ পাণ্ডুলিপির জন্য জীবনানন্দ দাশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেয়েছেন।