বিদায়! ঝড়ের রাত, গণিকাপল্লির আলো, কর্কশ গলার গান, বিদায়! বঙ্গোপসাগরের হাঙর, কুমির, জলোচ্ছ্বাস, নারীর পৃষ্ঠদেশ, নিতম্ব, শাদা হাত, বিদায় ঘড়ির গান, বাতাসে পর্দার নাচ, কৌচে অলস বিকেল, রাঙা মাটির লাল ধুলো, বিদায়, বিদায়!
বইয়ের বিবরণ
বাংলা ভাষার একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি শহীদ কাদরী। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর কবিতা ছাপা হয়েছিল বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত কবিতা পত্রিকায়। বাংলা কবিতার নতুন রাজধানী ঢাকায় এ ছিল এক পরম স্বীকৃতি।
শহীদ কাদরী লিখেছেন কম, কিন্তু খ্যাতি পেয়েছেন অনেক। ১৯৫০-এর দশকে বাংলাদেশে আধুনিক কবিতার যে নতুন যাত্রা শুরু হয়, সেখানে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য। জীবনযাপন ও কবিতাকে তিনি একাকার করে দিয়েছিলেন। মানুষ হিসেবে এবং কবিতায় তিনি ছিলেন চৌকস কিন্তু বাউন্ডুলে, অকপট কিন্তু তির্যক, বুদ্ধিদীপ্ত কিন্তু খামখেয়ালি। তাঁর কবিতাপাঠ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। কবির মৃত্যুর এক বছর পর প্রকাশিত হলো তাঁর নতুন একটি কবিতার বই। এই কবিতাগুলোতেও পাঠক তাঁদের প্রিয় কবিকে চিনে নিতে পারবেন। এ বই না বেরোলে শহীদ কাদরীর কবিপ্রতিকৃতির কিছু রেখা চিরকালের জন্য অনঙ্কিত রয়ে যেত।
- শিরোনাম গোধূলির গান
- লেখক শহীদ কাদরী
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯২৭৪২৯২
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
শহীদ কাদরী
জন্ম ১৪ আগস্ট ১৯৪২, কলকাতায়। শৈশবের ১০ বছর কাটে কলকাতায়। ১৯৫২ সালে ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৭৮ সালে জার্মানিতে যান। মাস তিনেক থাকার পর চলে যান লন্ডনে। ঢাকায় ফিরে আসেন চার বছর পর। কিছুদিন কাজ করেন দৈনিক সংবাদ-এ। আবার লন্ডনে যান ১৯৮২ সালে। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে। ২৮ আগস্ট ২০১৬ নিউইয়র্কে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: উত্তরাধিকার (১৯৬৭), তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা (১৯৭৪), কোথাও কোনো ক্রন্দন নেই (১৯৭৮) ও আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও (২০০৯)। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৩) ও রাষ্ট্রীয় একুশে পদক (২০১১) লাভ করেন।