পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকা। ধোলাইখালের পাড়ে মুরগিটোলা মহল্লা। বিচিত্র ধরনের
মানুষের বসবাস এই মহল্লায়। দশ বছরের বালক মিলু বড় হয়ে উঠছে এখানে। বাড়ির লাগোয়া ভাগাড়। হাওয়ায় সারাক্ষণ পচা গন্ধ। আরেক দিকে একটা পুকুর। অদূরে ধূপখোলা মাঠ। সময় ১৯৬৪ সাল। মিলুর চোখ দিয়ে দেখা বিচিত্র সব মানুষের জীবনযাপনের ভেতর দিয়ে ফুটে উঠেছে সেসব দিনের অনুপুঙ্খ চিত্র। বহু চরিত্র, বহু ঘটনার মধ্য দিয়ে পেছনে ফেলে আসা এক জীবনের কাহিনি মায়ানগর।
বইয়ের বিবরণ
১৯৬৪ সাল। পুরান ঢাকা। কত রাস্তা গলি মাঠ রেললাইন খাল ভাগাড়। কত রকমের মানুষ। মায়ানগর উপন্যাসে এই সবকিছুর দেখা মেলে মিলুর চোখ দিয়ে। মিলুদের বাড়ি বিক্রমপুরের মেদিনীমণ্ডল গ্রামে। ওরা অনেক ভাইবোন। বাবা চাকরি করেন ঢাকায়। পরিবারের একটা অংশ ঢাকায় থাকে, আর একটা অংশ থাকে মেদিনীমণ্ডলে। দশ বছরের মিলু ঢাকায় সঙ্গী হিসেবে পেল লুৎফনকে। পুরান ঢাকার এমন জায়গা নেই, যেটা লুৎফন চেনে না। লুৎফনকে একদিন হারিয়ে ফেলল মিলু। মিলুকে সে বলেছিল ট্রেনে চেপে কোথাও চলে যাবে। কোথায় গেল সে! বাড়িতে?
তারপর মিলু একা একাই ঘুরেছে অনেক। মেদিনীমণ্ডল থেকে একা লঞ্চে চেপে চলে এসেছে ঢাকায়। এত মানুষ, এত পথ, এত সম্পর্ক আর মায়া—সব মিলে এক গভীর ঐকতান সৃষ্টি হয়েছে মায়ানগর উপন্যাসে।
- শিরোনাম মায়ানগর
- লেখক ইমদাদুল হক মিলন
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৩০২২৭৮
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
ইমদাদুল হক মিলন
জন্ম ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫, বিক্রমপুরে। প্রথম গল্প বন্ধু প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে এবং প্রথম উপন্যাস যাবজ্জীবন ১৯৭৬ সালে। বাংলাদেশে সাহিত্যের পাঠক সৃষ্টিতে তাঁর রয়েছে ব্যাপক ভূমিকা। তিন পর্বের দীর্ঘ উপন্যাস নূরজাহান কালজয়ী সাহিত্য হিসেবে গণ্য। দেশে-বিদেশে বহু পুরস্কারে সম্মানিত। বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৯২। তিনবার পেয়েছেন সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার। জাপানে ‘তাকেশি কায়েকো মেমোরিয়াল এশিয়ান রাইটারস লেকচার’ সিরিজে বাংলা ভাষার একমাত্র লেখক হিসেবে অংশগ্রহণ ২০০৫। ভারতের আইআইপিএম সুরমা চৌধুরী স্মৃতি আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কার ২০১২।সম্মাননা পদক ইত্যাদি। কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন ২০১২ সালে।