জীবনে এমন কিছু ঘটনা থাকে, যেগুলো সারা জীবন তাড়িয়ে বেড়ায় আমাদের। বীথির জীবনেও এমন একটি দুর্ঘটনা রয়েছে, যা তার বিয়ের পরও পিছু ছাড়ে না। সেই শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনা উপন্যাসের পরতে পরতে পাঠক খুঁজে পাবেন এবং তাঁদের মনোজগৎ আলোড়িত হবে।
বইয়ের বিবরণ
যুগে যুগে নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ভোগ করছে নিপীড়ন-নির্যাতন। সমাজ তাদের উপাধি দেয় কলঙ্কিনী হিসেবে। নিষ্ঠুর নিয়তি আর মানুষের অজ্ঞতা, হিংস্রতা ও কুসংস্কার আঘাতে আঘাতে তাদের রক্তাক্ত করে ―এই দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীত মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক অবস্থান থেকে লেখা হয়েছে ডাঙায় ডুবোজীবন উপন্যাসটি। আখ্যানের ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয়েছে চরিত্রদের মনোজগৎ, বুদ্ধিবৃত্তিক মূল্যায়ন। বইয়ের প্রধান চরিত্র বীথি সব সংকট, অপবাদ, দুর্নাম কাটিয়ে আলোর দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। কৈশোরে ধর্ষণের খবর জেনেও স্বপন বিয়ে করে বীথিকে। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে স্বপনের পরিবার। অন্যদিকে বীথি মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে থাকে। বারবার পুরোনো স্মৃতি তাড়া করে তাকে। সেই স্মৃতি থেকে বীথিকে মুক্ত করার জন্য এগিয়ে আসে স্বপন। নানা সংকট, ঘাত-প্রতিঘাত নিয়েই এগিয়ে গিয়েছে এ উপন্যাস।
- শিরোনাম ডাঙায় ডুবোজীবন
- লেখক মোহিত কামাল
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- মুদ্রণ 1st Published, 2022
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
মোহিত কামাল
জন্ম ১৯৬০ সালের ২ জানুয়ারি, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম। শৈশব ও কৈশোরকাল কেটেছে চট্টগ্রাম ও খুলনার খালিশপুরে। তাঁর লেখালেখির মুখ্য বিষয় গল্প ও উপন্যাস। বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণাধর্মী রচনার পাশাপাশি শিশুসাহিত্য রচনাতেও পারদর্শী। তাঁর গ্রন্থসংখ্যা চল্লিশের বেশি। মাসিক সাহিত্য সাময়িকী শব্দঘর-এর সম্পাদক। সাহিত্যকৃতির স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ‘সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার’, ‘বেগম রোকেয়া সম্মাননা পদক’সহ আরও কিছু পুরস্কার। তিনি ঢাকাস্থ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্রফেসর অ্যান্ড হেড অব সাইকোথেরাপি।