ল্যু সালোমে এবং নিৎসে, রিলকে ও ফ্রয়েড

লেখক: আনোয়ারা সৈয়দ হক

বিষয়: দর্শন, ৪০% ছাড়ের বই, বেশি ছাড়ের বই

২০৪.০০ টাকা ৪০% ছাড় ৩৪০.০০ টাকা

লেখক ল্যু আন্দ্রিয়াস-সালোমে (১৮৬১-১৯৩৭) ছিলেন অদম্য জ্ঞানপিপাসু এক নারী। ১৭ বছর বয়সে তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন এক ডাচ ধর্মযাজক। তারপর কে তাঁর প্রেমে পড়েননি? দার্শনিক ফ্রিডরিশ নিৎসে, কবি রাইনার মারিয়া রিলকে, মনস্তত্ত্ববিদ সিগমুন্ড ফ্রয়েড ও লেখক পল রি। সবাই তাঁকে বিয়ে করতে চেয়েছেন। সাড়া দেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত বিয়ে করেন অধ্যাপক কার্ল আন্দ্রিয়াসকে এই শর্তে যে, তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক থাকবে না। ল্যু সালোমে জানতেন নারীর স্বাধীন সত্তা কীভাবে রক্ষা করতে হয়। এই বই যেকোনো পাঠককে আগ্রহী করে তুলবে।
 

পছন্দের তালিকায় রাখুন

বইয়ের বিবরণ

ল্যু আন্দ্রিয়াস-সালোমে (১৮৬১-১৯৩৭) নারীর স্বাধীন সত্তার এক মূর্ত প্রতীক। জন্ম রাশিয়ায়। ১৭ বছর বয়সে এক ধর্মযাজকের কাছে ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন সম্পর্কে পাঠ নেন। সালোমের প্রেমে পড়েন এই যাজক। তাঁকে এড়াতে সালোমে যান জুরিখে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ নেন। এরপর যান রোমে। সেখানে পরিচয় হয় দার্শনিক নিৎসে ও লেখক পল রির সঙ্গে। দুজনই সালোমের প্রেমে পড়েন এবং তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। সালোমে তাঁদের প্রস্তাব গ্রহণ না করে চলে যান জার্মানিতে। তিনি বিয়েতে আগ্রহী ছিলেন না। তা সত্ত্বেও অধ্যাপক ফ্রিডরিশ কার্ল আন্দ্রিয়াসের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে সালোমে তাঁকে বিয়ে করেন এক শর্তে—তাঁদের মধ্যে কোনো শারীরিক সম্পর্ক থাকবে না। সেই শর্ত পালন করেছেন আন্দ্রিয়াস। বিবাহিত সালোমের সঙ্গে কবি রাইনার মারিয়া রিলকের প্রেম হয়। এ সম্পর্ককে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হবে? তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন মনস্তত্ত্ববিদ সিগমুন্ড ফ্রয়েডও। সেই প্রেমেই-বা কীভাবে সাড়া দিয়েছেন সালোমে? আসলে ল্যু সালোমে নিজের মতো করে জীবন যাপন করেছেন। তাঁর সেই ঘটনাবহুল ও বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে লেখা এই বই যেকোনো পাঠককে আগ্রহী করে তুলবে, আনন্দ দেবে।

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

এই লেখকের আরও বই
এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
৫(১)
  • (১)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন

Md Mizan

২৮ Feb, ২০২৩ - ১২:৫৬ PM

ল্যু সালোমে একজন অসাধারণ চরিত্র। তার জন্ম রাশিয়ায় হলেও তিনি পরবর্তীতে জার্মানি চলে আসেন। তখনকার সমাজে নারীদের তেমন মতপ্রকাশ কোন কিছু করার অধিকার ছিল না। তিনি প্রথম নারী যিনি নারীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আদায়ের জন্য লড়েন। লেখক আনোয়ারা সৈয়দ হক তিনি সৈয়দ শামসুল হকের স্ত্রী। তিনি বইটি সুচারুরূপে লিখেছেন। তার স্বামীর ইচ্ছা ছিল বইটি তিনি দেখেন, তবে তার জীবদ্দশায় সম্ভব হয়নি। প্রথমে আমরা তার ভাই-বোনদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো ,দেখি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা বাবা্মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা। জ্ঞান অর্জনের জন্য যেকোনো কিছু করতে পারতেন তিনি। তার প্রেমে মুগ্ধ হয়ে অনেক পুরুষ বিভোর হয়েছে এমনকি আত্মহত্যা করেছেন। যেমননিতসে, রিলকে ফ্রয়েড। প্রথমে ধর্মযাজক তার প্রেমে পড়েন। ফলে ল্যু সালমে রাশিয়া ত্যাগ করে চলে আসেন জার্মানিতে। এসে জ্ঞান অর্জনের জন্য বিভিন্ন লাইব্রেরী বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে যান। তবে তার জীবনে বিয়ে করার কোন ইচ্ছে ছিল না। শেষ পর্যন্ত একজনকে বিয়ে করে ফেলেন তবে তাদের মধ্যে কোন সম্পর্ক ছিল না । তারা শুধু জ্ঞান অর্জনের জন্য একসাথে থাকতেন। তার ব্যস্ততাময় জীবনের অবসান হয় ১৯৩৭ সালে। বইটি পড়লে দর্শন ও মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ে জ্ঞান উপার্জন করা যাবে। #প্রথমাডটকম_কথাপ্রকাশ_বই_রিভিউ_প্রতিযোগিতা