গোপাল ভাঁড়ের গল্প বাংলা সাহিত্যের বিশাল ভান্ডারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আঠারো শতকের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাসদদের একজন ছিলেন তিনি। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এবং চারপাশের মানুষজনকে নিয়ে গোপাল ভাঁড়ের যে গল্প, তা অনাবিল আনন্দের। যারা হাসতে চায় না, তারাও হাসবে তাঁর গল্প পড়ে।
বইয়ের বিবরণ
গোপাল ভাঁড়। আসল নাম গোপালচন্দ্র ভান্ডারি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণিতে তাঁর জন্ম। আঠারো শতকে। তাঁর জন্মতারিখ পাওয়া যায়নি। গোপাল ছোটবেলা থেকেই খুব বুদ্ধিমান ছিলেন। হাসি-তামাশাতেও কম যেতেন না। যুবক বয়সে পা দিতেই তাঁর নাম-ডাক চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসব শুনে নদীয়া জেলার তখনকার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র গোপালকে তাঁর দরবারে ডেকে পাঠান। বলেন, তুমি দরবারের সবাইকে হাসাবে। হাসানোই তোমার কাজ। তোমাকে একই সঙ্গে দরবারের ভাঁড় ও সভাসদের মর্যাদা দেওয়া হলো। সেই থেকে গোপালচন্দ্র ভান্ডারি ‘গোপাল ভাঁড়’ হলেন এবং শুরু হলো তাঁকে ও রাজাকে ঘিরে গল্পের পর গল্পের সৃষ্টি। বাংলা সাহিত্যে তাঁর এসব গল্প চিরস্থায়ী আসন লাভ করেছে।
- শিরোনাম গোপাল ভাঁড়ের ৫ ডজন গল্প
- লেখক আখতার হুসেন
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৩০২২৫৪
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
আখতার হুসেন
জন্ম ১৯৪৫ সালের ১ নভেম্বর পিতার কর্মস্থল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আমনুরায়। গদ্য-পদ্য মিলিয়ে প্রকাশিত বই ৬০-এর বেশি। শিশুসাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমী পুরস্কারসহ বেশ কিছু সম্মাননা।