কিডন্যাপারের ডেরায় দাঁড়িয়ে হর দাদু। তার সামনে চারজন কিডন্যাপার। চেয়ারে দড়ি দিয়ে বাঁধা জয়িতা। কিডন্যাপ হয়ে যাকে মনে হচ্ছে মহাখুশি। ওদিকে জয়িতার খোঁজে পাগলপারা বাবাকে ফোন করে রহস্যময় কণ্ঠ কিনা বলছে, আপনার মেয়ে আমাদের কিডন্যাপ করেছে! জয়িতার মুক্তিপণের জন্য কেন চাওয়া হচ্ছে মাত্র দশ টাকা? রোজ দুপুরে কোথায় নিরুদ্দেশ হয় জয়িতার বিড়াল গাবলুশ? হর দাদুর কাছে এর চেয়েও জটিল প্রশ্নটা হলো: কে এই কিডন্যাপিংয়ের হোতা?
বইয়ের বিবরণ
জয়িতার বাবা পৃথিবীর বোকা মানুষদের একজন। চালাক মানুষের ভিড়ে বড় বেমানান তার বোকা বাবা। যে বাবা পাথরের জন্যও দুঃখ পান! জয়িতার মা তাই ঠিক করেছেন, জয়িতার জন্য চালাক-চতুর এক বাবা এনে দেবেন। শিগগির বোকা বাবাকে ছেড়ে জয়িতারা চলে যাবে কানাডায়, তার নতুন বাবার হাত ধরে। কিন্তু বোকা বাবাটার জন্য যে জয়িতার মন খুব কাঁদে! এরই মধ্যে দেশ ছাড়ার চার দিন আগে স্কুল থেকে ফিরল না জয়িতা। রহস্যময় এক কণ্ঠস্বর অদ্ভুত সব দাবি জানিয়ে দিল ফোন। জানা গেল, কিডন্যাপ হয়েছে জয়িতা! কিছুতেই খুলছে না রহস্যের জট। এই রকম কিডন্যাপারের দল দীর্ঘ পুলিশি জীবনে দেখেননি খান বাহাদুর। এমন রহস্যের সমাধানও কি দেখেছেন? জয়িতার কিডন্যাপ-রহস্য সমাধান করল তার পোষা বিড়াল গাবলুশ! কিডন্যাপারের ডেরায় আবার অদ্ভুত সব কাণ্ড। রহস্যের জট যখন খুলল, গ্রেপ্তার করার বদলে আসল কিডন্যাপারকে কিনা স্যালুট
ঠুকে দিলেন পুলিশ অফিসার খান বাহাদুর নিজেই!
- শিরোনাম বোকা বাবা ও কিডন্যাপার
- লেখক রাজীব হাসান
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
রাজীব হাসান
জন্ম ২০ মার্চ ১৯৮৪, দিনাজপুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর। রংপুর জিলা স্কুলে পড়ার সময় স্থানীয় পত্রিকা ও রংপুর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের নিজেদের কথা ম্যাগাজিনে কাজ করতে করতে লেখালেখির জগতে প্রবেশ। রংপুর বিকন নাট্যকেন্দ্রের সক্রিয় কর্মী হিসেবে যুক্ত ছিলেন গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই পুরোদস্ত্তর সাংবাদিক। এখন কাজ করছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিকে। প্রকাশিত বই অভিরূপের অভিযান।