কচানদীর পারে বরইতলা গ্রামের ধানক্ষেতে বুকলী, জামালপুরের নাসের খুঁজে পায় এক শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে। তাঁর পকেটে পায় একটা চিঠি। চিঠিতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বাবলু লিখেছে-যুদ্ধে সে শহীদ হলে তার লাশটা যেন নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধে আসার আগে বাবলু মাকে বলে আসেনি। নদীতে লাশ ভাসিয়ে দিলে সে ভাসতে ভাসতে ভাসতে মায়ের কাছে যাবে।
তিনজনে মিলে বাবলুর জন্য কলাগাছের ভেলা বানাতে শুরু করে। কিন্তু শেষ করতে পারছে না। চারপাশে রাজাকার, পাকিস্তানি মিলিটারি জানতে পারলে ওদের মেরে ফেলবে। তারপরও জামাল, নাসের আর বকুলী ভেলা বানাতে থাকে।
এই সময়ে আসে আব্বাস রাজাকারের ছেলে, ওদের বন্ধু বরকত। সঙ্গে ঢাকা থেকে আসে বরকতের মামাতো ভাই অরণ্য।
কি করবে ওরা? বরকত যদি ওর বাবাকে জানিয়ে দেয়-তাহলে মহাসর্বনাশ। অন্যদিকে রাত হয়ে আসছে-ঘরে ফিরছে না-পাঁচজন মায়ের পাঁচ সন্তান। তারা কাঁদছে। কি হবে ভেলার? বাবলু কি ধানক্ষেতেই পড়ে থাকবে?
বইয়ের বিবরণ
- শিরোনাম একাত্তর ও কয়েকটি ঘাসফড়িং
- লেখক মনি হায়দার
- প্রকাশক বাংলাপ্রকাশ
- আইএসবিএন ৯৮৪৩০০০০০৬৩৯৬
- প্রকাশের সাল ২০১১
- মুদ্রণ 1st Published
- বাঁধাই হার্ডকভার
- পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪০
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।