বীরবলের গল্প শুধু মজার গল্প নয়, অনেক ক্ষেত্রে বুদ্ধিদীপ্তও বটে। পাঁচ শ বছর পরেও গল্পগুলো ছোট বড় নির্বিশেষে সবাইকে আনন্দ দিয়ে আসছে। সম্রাট আকবর ও বীরবলের মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই নানা ধরনের কথা হতো, ঘটনাও ঘটত দুজনকে ঘিরে। সম্রাটের দরবারে এবং তার বাইরে। সেসব ঘটনা থেকেই গল্পগুলোর জন্ম। যারা হাসতে চায়, বুদ্ধিমান হতে চায়, বুঝতে চায় ভাল-মন্দের বিভেদ, বীরবলের গল্পের এ বই তাদের চিরসঙ্গী হবে।
বইয়ের বিবরণ
বীরবল আর সম্রাট আকবরকে নিয়ে প্রচলিত গল্পগুলো এখনো সমগ্র ভারত উপমহাদেশে বহুল পঠিত। ছোট বড় সবার প্রিয়। পাঁচশো বছর ধরে গল্পগুলো পাঠককে আনন্দ দিয়ে আসছে। এই বইয়ের গল্পগুলোও পাঠককে নির্মল আনন্দ দেবে।
কে এই বীরবল। তাঁর আসল নাম মহেশ দাস। জন্ম ১৫২৮ খ্িরষ্টাব্দে ভারতের মধ্য প্রদেশের সিধি জেলার ঘোগহারা গ্রামে, গরিব ব্রাহ্মণ পরিবারে। তিনি ছিলেন মোগল সম্রাট আকবরের দরবারের নবরত্নের একজন। উপাধি ছিল ‘উজিরে আজম’ অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী।
আকবর গুণীজনদের সমাদর করতেন। তিনি মহেশ দাসের প্রতিভার কথা শুনে তাঁর দরবারে তাঁকে স্থান দিয়েছিলেন। অচিরেই তিনি তাঁকে রাজা উপাধিতে ভূষিত করেন। গায়ক এবং কবি হলেও মূলত বীরবলের দায়িত্ব ছিল প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক। আকবরের গোপন মন্ত্রণাসভারও সদস্য ছিলেন তিনি। আকবর ভালোবাসতেন বীরবলের উপস্থিত বুদ্ধি, হাস্যরস ও তাঁর ধীমানতা। বীরবলের বেশির ভাগ গল্পই সম্রাট আকবর ও তাঁকে জড়িয়ে, তাঁদের দুজনের কথাবার্তা ও নানা উপলক্ষকে কেন্দ্র করে।
বীরবল মারা যান ১৫৮৬ খ্িরষ্টাব্দে, তৎকালীন উত্তর-পশ্চিম ভারতে আফগান উপজাতিদের যুদ্ধ থামাতে গিয়ে।
- শিরোনাম রসের রাজা বীরবলের সেরা গল্প
- লেখক আখতার হুসেন
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
আখতার হুসেন
জন্ম ১৯৪৫ সালের ১ নভেম্বর পিতার কর্মস্থল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আমনুরায়। গদ্য-পদ্য মিলিয়ে প্রকাশিত বই ৬০-এর বেশি। শিশুসাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমী পুরস্কারসহ বেশ কিছু সম্মাননা।