নোনাজলে ডুবসাঁতার-এ ব্রাত্যসমাজের তিন পুরুষের আখ্যান আছে। আছে মুক্তিযুদ্ধ এবং তার আগের-পরের বিবরণ। বইটি শুধু জীবনাখ্যান নয়, এতে আছে উপন্যাসের মতো আকর্ষণ, আছে সমাজ-ইতিহাস এবং সময়। পাঠকদের অন্য রকম এক জীবনজিজ্ঞাসার মুখোমুখি দাঁড় করাবে নোনাজলে ডুবসাঁতার।
বইয়ের বিবরণ
বুক ঘষে ঘষে পথ ফুরানোর জীবন হরিশংকর জলদাসের। এ জীবনে আছে আনন্দ-হাহাকার, সম্মান-অপমান; আছে পাপাচার-প্রতারণা। হরিশংকরের জীবনে সামাজিক অসম্মানের বিপন্নতা যেমন আছে, তেমনি আছে অপার প্রাপ্তির উল্লাস। এসবেরই সম্মিলন ঘটেছে নোনাজলে ডুবসাঁতার-এ।
এই বইয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক সত্যলগ্নতা। হরিশংকর নিজের জীবনকাহিনি লিখতে গিয়ে ওপরচালাকির আশ্রয় নেননি। সত্য যতই কঠিন বা রূঢ় হোক, অকপটে বর্ণনা করেছেন। তাঁর বৈচিত্র্যময় ভাষাভঙ্গির টান তো আছেই।
হরিশংকর জলদাসের ব্যক্তি ও লেখকজীবনের এক সম্পূর্ণ আখ্যানই বলা যায় এই আত্মজীবনীকে।
- শিরোনাম নোনাজলে ডুবসাঁতার
- লেখক হরিশংকর জলদাস
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৩০০২৮১
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
হরিশংকর জলদাস
জন্ম ১৯৫৫ সালের ১২ অক্টোবর, চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গা গ্রামের জেলেপল্লিতে। লেখালেখি শুরু করেছেন মধ্যবয়সে। প্রথম উপন্যাস জলপুত্র। শুরুতেই পাঠকের কাছে সমাদৃত হয়েছেন। কারণ তিনি শুধু কাহিনি লেখেন না, সমাজকেও আঁকেন। তাঁর কয়েকটি উপন্যাস—দহনকাল, কসবি, মোহনা, রামগোলাম, প্রতিদ্বন্দ্বী, আমি মৃণালিনী নই। গল্পগ্রন্েথর মধ্যে রয়েছে জলদাসীর গল্প, হরকিশোরবাবু, কোনো এক চন্দ্রাবতী। বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কারসহ এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার।