নীল জলে কী দিয়ে লেখা যাবে? আজ থেকে ঠিক দুশ বছর আগে জন কিটস নিজের সমাধির জন্য এপিটাফ রচনা করেছিলেন, ‘এখানে শুয়ে আছে এক তরুণ ইংরেজ কবি, যার নাম জলের গায়ে লেখা।’ নীল জলের গায়ে কী দিয়ে নাম লেখা যাবে, ২৫ বছর বয়সে মারা যাওয়া কবি কিটস কী ভাবতেন? কবিতা তো আসলে অনির্বচনীয়তা। কবিতা ও মানবহৃদয় হলো এক চির-অব্যাখ্যাত শিল্প। কবি ক্রমাগত চেষ্টা করে যান শিল্পের এই সোনার হরিণকে ধরবার জন্য। আনিসুল হক আজ থেকে তিন যুগ আগে লিখেছিলেন, ‘তুই কি আমার দুঃখ হবি!’ এবার লিখলেন তারই জবাব, ‘আমি তোর আনন্দ হব।’ তিনি লিখেছেন, ‘আবার বসব মুখোমুখি নীলকণ্ঠ পাখি!’ ভালোবাসা না পাওয়া কিংবা অতিমারিতে দীর্ণ হয়ে যাওয়া সময়েও তিনি আশার কথা লেখেন। যেন মিলনই মৌলিক। মৃত্যুর চেয়ে জীবনই বড় হয়ে উঠতে চায়, বিরহের চেয়ে যেমন তীব্র মিলনের আকাঙ্ক্ষা।
কবিতার সঙ্গে থাকল আনিসুল হকের নিজের হাতে আঁকা কিছু ছবি। বাঞ্ছা করি, এই বই ভালোবেসে আপনি আপনার প্রিয়জনের হাতে তুলে দেবেন।
বইয়ের বিবরণ

আনিসুল হক
জন্ম ৪ মার্চ ১৯৬৫, নীলফামারী। শৈশব ও বাল্যকাল কেটেছে রংপুরে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা, ভ্রমণকাহিনি, শিশুসাহিত্য—সাহিত্যের নানা শাখায় সক্রিয়। প্রথমা থেকে প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সে সময়ের মানুষদের নিয়ে তাঁর লেখা উপন্যাসের ছয়টি পর্ব—‘যারা ভোর এনেছিল’, ‘উষার দুয়ারে’, ‘আলো-আঁধারের যাত্রী’, ‘এই পথে আলো জ্বেলে’, ‘এখানে থেমো না’ ও ‘রক্তে আঁকা ভোর’। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার। তাঁর বই বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত ও প্রকাশিত হয়েছে দেশ-বিদেশে।