দুই বন্ধু মিলে দশ-বিশজন মেয়ের মধ্য থেকে একটা মেয়েকে বেছে বেয়াল্লিশ টাকায় কিনে নিল। রাত শেষ হলে পরে এক বন্ধু সেই মেয়েকে জিজ্ঞেস করল, ‘তোমার নাম কী?’
মেয়ে তার নাম বলল। নাম শুনে সেই বন্ধু হতবাক হয়ে রইল। বলল, ‘আমাদের তো বলল তুমি অন্য ধর্মের!’
মেয়েটি জবাব দিল, ‘ওরা মিথ্যে বলেছে।’
এই কথা শুনে সে ছুটে তার বন্ধুর কাছে গিয়ে বলল, ‘ওই হারামজাদারা আমাদের ধোঁকা দিয়েছে। চল মেয়েটাকে ফিরিয়ে দিয়ে টাকা নিয়ে আসি।’
বইয়ের বিবরণ
সাদত হাসান মান্টো ভারতবর্ষের ইতিহাসে এক বিশেষ পর্বের কথক। তাঁর রচনাবলির গুরুত্বপূর্ণ অংশজুড়ে আছে ১৯৪৭-এর দেশভাগ নিয়ে লেখা গল্প। এই বইয়ের গল্পগুলো সেই সময়ে চলার পথে ঘটতে দেখা ইতিহাসের চিত্রসম্ভার—বীভৎস, নির্মম; কোনো প্রলেপ নেই তাতে। গল্পগুলোর তীব্রতা পাঠককে আনন্দের বদলে বেদনা দেবে বেশি। ইতিহাস থেকে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে মান্টোকে পাঠ করা সম্ভব নয়। মানুষের পক্ষ থেকে ইতিহাস বিনির্মাণের কাজে সাদত হাসান মান্টোকে তাই অনিবার্যভাবে পাঠ করতে হবে।
- শিরোনাম কালো সীমানা
- লেখক সাদত হাসান মান্টো, জাভেদ হুসেন
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
সাদত হাসান মান্টো
জন্ম ১৯১২ সালের ১১ মে পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার সোমরালা গ্রামে। মাত্র ৪৩ বছরের জীবনে তিনি নানা রকম পেশায় জড়িত হন। অনুবাদক, বেতার নাট্যকার, চলচ্চিত্রের কাহিনিকার ও সাংবাদিক হিসেবে তাঁর জীবন ছিল কর্মবহুল। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে ওঠে তাঁর সাহিত্য। ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগ তাঁর ব্যক্তিগত ও সাহিত্যিক জীবনে গভীর ছাপ ফেলে। তিনি পাকিস্তানে চলে যান। সেখানেও মানসিক ও আর্থিকভাবে থিতু হতে পারেননি। লেখায় অশ্লীলতার অভিযোগে তাঁকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। নিদারুণ অর্থকষ্টে ভুগেছেন। মৃত্যু ১৮ জানুয়ারি ১৯৫৫।