বীরকন্যা প্রীতিলতা (১৯১১-১৯৩২) কীভাবে সশস্ত্র বিপ্লবীদের সংস্পর্শে এলেন, কী অদম্য সাহসিকতার সঙ্গে বিংশ শতাব্দীর তিনের দশকের শুরুতে ইংরেজবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে যোগ দিলেন, কীভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম ইউরোপিয়ান ক্লাব অভিযানে এবং কীভাবে ইংরেজদের হাতে ধরা না দিয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন—বিষয়গুলো সহজ ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে এ বইয়ে।
বইয়ের বিবরণ
বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের (১৯১১-১৯৩২) জন্ম চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ধলঘাট গ্রামে। তাঁর বাড়ির পরিবেশ ছিল স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠার মতো। কৈশোরে চট্টগ্রামের খাস্তগীর ইংরেজী বিদ্যালয়ে পড়ার সময় তাঁর প্রিয় শিক্ষক তাঁর হাতে তুলে দেন ঝাঁসীর রাণী বইটি। বাবার কাছ থেকে উপহার পান টম কাকার কুটীর—দাসপ্রথা নিয়ে লেখা আঙ্কল টমস কেবিন-এর বাংলা অনুবাদ। এ-ভাবেই তাঁর বেড়ে ওঠা। স্কুল-কলেজের কৃতি ছাত্রী ছিলেন। বিংশ শতাব্দীর তিনের দশকের শুরুতে সশস্ত্র বিপ্লবীদের সঙ্গে সংযোগ, ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে যোগদান, চট্টগ্রাম ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ, ইংরেজদের হাতে ধরা না দিয়ে বিষ খেয়ে তাঁর আত্মহত্যা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে এ বইয়ে।
- শিরোনাম প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
- লেখক মালেকা বেগম
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

মালেকা বেগম
জন্ম ১৯৪৪ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। পরে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন। পিএইচডি (২০০৪) করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন স্টাডিজ সেন্টার থেকে পোস্টডক্টরাল (২০১১)। ষাটের দশকে ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। সত্তরের দশক থেকে নারী আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। মহীয়সী নারী কবি সুফিয়া কামালের সাহচর্যধন্য এই নারীনেত্রী মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় সংগঠক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার অ্যান্ড উইমেন স্টাডিজ বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক। বর্তমানে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির সোশিওলজি অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও প্রধান। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩৩।