রণেশ দাশগুপ্তের কিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধ, অনুবাদ-কবিতা ও সাক্ষাৎকার নিয়ে এ বই। এর বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতাসংগ্রাম, সাহিত্য-সংস্কৃতি, কবি-সাহিত্যিক, রাজনীতিক-বুদ্ধিজীবী, সমাজতন্ত্র প্রভৃতি। যেসব পাঠক বাংলাদেশ, বাংলা ও বিশ্বসাহিত্য সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, এ বইয়ের পাঠ তাদের জন্য আনন্দজনক হবে।
বইয়ের বিবরণ
রণেশ দাশগুপ্ত ১৯৬৩ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পর তাঁর সঙ্গে এ বইয়ের সম্পাদক মতিউর রহমানের প্রত্যক্ষ পরিচয় ঘটে। সে সময়ের ছাত্ররাজনীতির সক্রিয় কর্মী বা সমমনা তরুণদের ওপর রণেশ দাশগুপ্তের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রভাব ছিল ব্যাপক। তাদের সব ধরনের উদ্যোগ ও কাজে ছিল তাঁর পরামর্শ-অনুপ্রেরণা। তাঁর জ্ঞানচর্চার প্রবণতা ছিল বহুমুখী। দেশ-বিদেশের শিল্প-সাহিত্য, চলচ্চিত্র, রাজনীতি—সবই ছিল তাঁর পঠনপাঠনের অন্তভুর্ক্ত। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, চলচ্চিত্র প্রভৃতি নিয়ে সমালোচনমূলক লেখাতে ছিল তাঁর সমান দক্ষতা। অনুবাদেও ছিলেন পারদর্শী। ফলে রণেশ দাশগুপ্তের রচনা পাঠককে সমৃদ্ধ করত।
১৯৭৫ সালে তিনি কলকাতায় চলে যান। আশি ও নব্বইয়ের দশকে মতিউর রহমান চিকিৎসাসহ নানা প্রয়োজনে কলকাতায় গেলে প্রতিবারই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। ফেরার সময় বলে আসতেন, ‘কলকাতায় আপনার যেখানে যে লেখা বেরোবে, সেগুলোর একটি করে কপি রেখে দেবেন। আমি পরে এলে আপনার কাছ থেকে নিয়ে যাব।’ কখনো কখনো বাংলাদেশ থেকে যাওয়া পরিচিত কারও সঙ্গে কলকাতায় দেখা হলে তিনি তাঁদের হাত দিয়েও মতিউর রহমানের কাছে লেখা পাঠাতেন। এভাবে ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত তিনি যেসব লেখা এ বইয়ের সম্পাদককে দিয়েছেন, সেসব নিয়েই এই সংকলন। বরাবরের মতো এই সংকলনেও পাঠক বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী চিন্তাশীল ও প্রাজ্ঞ রণেশ দাশগুপ্তকেই খুঁজে পাবেন।
- শিরোনাম যদিও হাওয়া উল্টোপাল্টা
- লেখক রণেশ দাশগুপ্ত
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৩০০১১৩
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।