আপাতদৃষ্টিতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কারণ ছিলো পূর্ববঙ্গের সঙ্গে কার্যকারণে তাঁর অন্তরঙ্গ পরিচয়। অতঃপর দেশ, সমাজ, মানুষ, ধর্ম-সবকিছু সম্পর্কেই তাঁর ধারণা পাল্টে গিয়েছিলো। সেই বিবর্তন গভীর ছাপ ফেলেছিলো তাঁর মননে, তাঁর সৃষ্টিকর্মে। কিন্তু কেন? কেমন করে? কতোখানি? কোন ধরনের?
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিমন্ত্রণে ‘বিদ্যাসাগর বক্তৃতামালা’ প্রদান করতে গিয়ে গোলাম মুরশিদ এসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজেছেন। সেই বক্তৃতামালার ওপর ভিত্তি করে রচিত এই গ্রন্থে সেসব প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন।
বইয়ের বিবরণ
- শিরোনাম রবীন্দ্রমানস ও সৃষ্টিকর্মে পূর্ববঙ্গ
- লেখক গোলাম মুরশিদ
- প্রকাশক অবসর-প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৭৯৭-২৮-০
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
গোলাম মুরশিদ
ব্যাপক গবেষণা এবং বিবিধ গ্রন্েথর জন্যে গোলাম মুরশিদ উভয় বাংলায় সুপরিচিত। বাঙালি সমাজ-সংস্কৃতি, উনিশ শতকের বঙ্গদেশ, বঙ্গীয় রেনেসন্স, মানবীবিদ্যা, ভাষা-সাহিত্য ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে তাঁর বিচরণ। কিন্তু তাঁর তিরিশটি গ্রন্েথর মধ্যে আশার ছলনে ভুলি সমগ্র বাংলা জীবনী-সাহিত্যে একটি মাইলফলক বলে বিবেচিত হয়েছে। এতে কিংবদন্তির ধূম্রজাল থেকে মুক্তি দিয়ে লেখক মাইকেল-জীবনকে বস্ত্তনিষ্ঠভাবে পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। বিদ্রোহী রণক্লান্ত: নজরুল-জীবনীও অনুরূপ। তাঁর হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতিকে সমালোচক বলেছেন ‘মহাগ্রন্থ’। রেনেসন্স বাংলার রেনেসন্স গ্রন্থটি বঙ্গীয় রেনেসন্স সম্পর্কে একেবারে নতুন মূল্যায়ন। পুরোনো বাংলা গদ্যের ইতিহাস রচনায়ও তাঁর অবদান অসামান্য। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বিলেতে বাঙালিদের ইতিহাস ইত্যাদি নানা বিষয়ে তাঁর গবেষণা। তাঁর আর-এক অসামান্য কাজ বাংলা একাডেমি বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান সম্পাদনা।