দর্শনের ইতিহাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুজন গ্রিক দার্শনিক একজন অ্যারিস্টটল। তাঁর দর্শন সম্পর্কে বিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের অভিমত ও মূল্যায়নের গুরুত্ব নিয়ে কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই। রাসেল তাঁর বিখ্যাত ‘হিস্টরি অব ওয়েস্টার্ন ফিলোসফি’ গ্রন্থে পাঁচটি আলাদা আলাদা প্রবন্ধে অ্যারিস্টটলের দার্শনিক, রাজনৈতিক, নৈতিক চিন্তাভাবনার পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করেছেন সহজ সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষায়। বর্তমান গ্রন্থটি রাসেলের সেই পাঁচটি প্রবন্ধের অনুবাদ। বাংলা ভাষাভাষী দর্শনের ছাত্র, শিক্ষক এবং সাধারণ দর্শন অনুরাগীদের জন্য অনূদিত প্রবন্ধগুলি অ্যারিস্টটলকে বোঝার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
বইয়ের বিবরণ
- শিরোনাম অ্যারিস্টটলের পলিটিকস ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
- লেখক মশিউল আলম, বার্ট্রান্ড রাসেল
- প্রকাশক অবসর-প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৮৪-৪১৫-০৯১-৪
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
মশিউল আলম
জন্ম ১৯৬৬ সালে, জয়পুরহাটে। মস্কোর পাত্রিস লুমুম্বা গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর দেশে ফিরে সাংবাদিকতা শুরু করেন। বর্তমানে প্রথম আলোয় কর্মরত। তাঁর লেখা উপন্যাস ও গল্পগ্রন্েথর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তনুশ্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় রাত, ঘোড়ামাসুদ, জুবোফ্স্কি বুলভার, মাংসের কারবার, দ্বিতীয় খুনের কাহিনি।
বার্ট্রান্ড রাসেল
জন্ম ১৮৭২, যুক্তরাজ্যের ওয়েলসে। ব্রিটিশ দার্শনিক, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, শান্তিবাদী ও সমাজচিন্তক। তাঁকে বিশ্লেষণী দর্শনের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি তাঁর যুদ্ধ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ভূমিকার জন্যও সুপরিচিত। পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের বিরোধিতা ও শান্তিবাদী মতবাদ প্রচারের জন্য তাঁকে কারাভোগ করতে হয়। ভিয়েতনামে মার্কিন যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য তাঁর নেতৃত্বে গঠিত হয় রাসেল ট্রাইব্যুনাল। মতামতের কারণে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত রাসেল ১৯৪৯ সালে অর্ডার অব মেরিট এবং ১৯৫০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি মারা যান।