মওলানা ভাসানী বিভিন্ন সম্মেলনে যেসব লিখিত অভিভাষণ দিয়েছেন, তাতে তাঁর রাজনৈতিক দর্শন ও আর্থসামাজিক চিন্তাধারার প্রকাশ ঘটেছে। এ অভিভাষণগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসের এক মূল্যবান দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে।
বইয়ের বিবরণ
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তাঁর দীর্ঘ জীবনে জমিদার, জোতদার ও মহাজনদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন করে এক জীবন্ত কিংবদন্তিতে পরিণত হন। তিনি বাংলা ও আসামে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। পাকিস্তানের সামরিক-বেসামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম শীর্ষ নেতা তিনি। আওয়ামী লীগ ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রধান হিসেবে ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে বিভিন্ন সম্মেলনে তিনি যেসব লিখিত অভিভাষণ দিয়েছেন, তাতে তাঁর রাজনৈতিক দর্শন ও চিন্তাধারার প্রকাশ ঘটেছে। এ গ্রন্েথ সংকলিত তাঁর অভিভাষণগুলো বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাস প্রণয়নে অপরিহার্য দলিল।
- শিরোনাম ভাসানীর ঐতিহাসিক অভিভাষণ
- লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ (সম্পাদক)
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।
সৈয়দ আবুল মকসুদ
জন্ম মানিকগঞ্জে, ১৯৪৬ সালে। বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক-গবেষক, জনপ্রিয় কলামিস্ট, পরিবেশ ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ও মানবাধিকার কর্মী। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্েথর মধ্যে রয়েছে: কবিতা: বিকেলবেলা, দারা শিকোহ ও অন্যান্য কবিতা ; প্রবন্ধ: যুদ্ধ ও মানুষের মূর্খতা, বাঙালির সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার, পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথের ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন, ঢাকায় বুদ্ধদেব বসু প্রভৃতি; জীবনী: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবন ও সাহিত্য, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, গোবিন্দচন্দ্র দাসের ঘর-গেরস্থালি ; ভ্রমণকাহিনি: জার্মানীর জার্নাল, পারস্যের পত্রাবলি। বাংলাদেশে গান্ধী-গবেষণার পথিকৃৎ। তাঁর গান্ধী-বিষয়ক গ্রন্থ: Gandhi, Nehru and Noakhali ও Gandhi Camp। চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ঋষিজ পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। মৃত্যু: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১