পদ্মানদীর মাঝি/মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

লেখক: সৈয়দ আজিজুল হক

বিষয়: কথাসাহিত্য

১১২.৫০ টাকা ২৫% ছাড় ১৫০.০০ টাকা

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (১৯০৮-১৯৫৬) কালজয়ী উপন্যাস পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬)। কথাশিল্পী হিসেবে মানিকের অসামান্য খ্যাতির পেছনে এ উপন্যাসের রয়েছে নিঃসন্দেহে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মানিক রচনাবলির মধ্যে সর্বাধিক পঠিত ও আলোচিত এ উপন্যাস।
 

পছন্দের তালিকায় রাখুন

বইয়ের বিবরণ

আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

সৈয়দ আজিজুল হক

জন্ম ১৯৫৯ সালের ৩০ এপ্রিল, বর্তমান পিরোজপুর জেলার সেহাঙ্গল গ্রামে। পড়ালেখা সেহাঙ্গল উচ্চবিদ্যালয়, বিএম কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। লাভ করেছেন এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি। শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে; বর্তমানে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। প্রকাশিত গ্রন্থ: দীনেশচন্দ্র সেন (১৯৯০), ময়মনসিংহের গীতিকা: জীবনধর্ম ও কাব্যমূল্য (১৯৯০), মানিক বন্দ্যােপাধ্যায়ের ছোটগল্প: সমাজচেতনা ও জীবনের রূপায়ণ (১৯৯৮), জীবনানন্দের শুভ-অশুভের দ্বন্দ্ব ও বিবিধ প্রবন্ধ (২০০৬), মন ও মনন (২০১১)। শিল্পকলাবিষয়ক গ্রন্থ: জয়নুল আবেদিন: সৃষ্টিশীল জীবনসমগ্র (২০১৫) কামরুল হাসান: জীবন ও কর্ম (১৯৯৮), কামরুল হাসান (২০০৩), সফিউদ্দীন আহমেদ (২০১৩)। সম্পাদিত গ্রন্থ: দীনেশচন্দ্র সেন-সংকলিত মৈমনসিংহ-গীতিকা (১৯৯৯), আবদুল হকের স্মৃতি-সঞ্চয় ১ ও ২ (২০০৩ ও ২০০৫), রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ চিঠিপত্র (২০০৮), বাংলাদেশের শিল্প আন্দোলন ও আমার কথা (২০১০)।

এই লেখকের আরও বই
এই বিষয়ে আরও বই
আলোচনা ও রেটিং
৫(৩)
  • (৩)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
  • (০)
আলোচনা/মন্তব্য লিখুন :

আলোচনা/মন্তব্যের জন্য লগ ইন করুন

Joyanta Kumar Mondal

১৫ Mar, ২০২৩ - ৭:২১ PM

বইয়ের নাম : পদ্মানদীর মাঝি লেখক: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বইয়ের ধরন : আঞ্চলিক উপন্যাস #প্রথমাডটকম_কথাপ্রকাশ_বই_রিভিউ_প্রতিযোগিতা পদ্মা নদী কখনো শান্ত,কখনো সর্বগ্রাসী, এই সর্বগ্রাসী প্রমত্তা পদ্মার রত্নভাণ্ডারের সম্পদ বিলিয়ে যায় তার তীরের জনপদে।এখানে জীবন - জীবিকা নির্বাহ করা লোক জনদের জীবন সংগ্রামের কথা অত্যান্ত সুনিপুণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন কালজয়ী লেখক মানিক বন্দোপাধ্যায় "পদ্মা নদীর মাঝি" উপন্যাসে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র কুবের,কুবের পদ্মা নদীর মাঝি। বর্ষামৌসুমে পদ্মায় ইলিশ ধরার ঢল নামে।সারারাত ভর মাছ ধরে জেলেরা।কুবেরের আরেক সঙ্গী গনেশ, তারা ধনজ্ঞয়ের নৌকায় মাছ ধরে।খাটতে বেশী তবে রোজগারটা অতি সামান্য। এই উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্র গুলো কুবেরের স্ত্রী মালা, পিসি,বড় মেয়ে গোপী, তিন ছেলে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি কুবের। নদীতে বুকে দুর্দান্ত গতিতে ছুটে চলা সংগ্রামী মানুষের জীবন ধারনের রোমাঞ্চকর কথ্যমালা পাঠকের মনে গভীর ভাবে আলোড়ন তুলতে সক্ষম এই উপন্যাস। এরই মাঝে আরেক রহস্যময়ী নারী চরিত্রের আগমন ঘটে। সে মালার বোন কপিলা,মালার পঙ্গুত্ব কুবেরকে টেনে নিয়ে যায়,কপিলার দিকে।কপিলা ও স্বামীর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত, সে কুবেরের অনৈতিক অনুভুতিকে প্রশ্রয় দেয়।তাদের মধ্যে এই সম্পর্ক চলতে থাকলেও শেষ মেশ কপিলার স্বামী কপিলাকে নিয়ে যায়। কপিলার বিখ্যাত ডায়লগ : "আমারে নিবা মাঝি লাগে"। উপন্যাসের আরো একটি চরিত্র হোসেন মিঞা, সে সবাইকে সাহায্য করলেও তার পেছনে আছে গভীর স্বার্থপরতা।তার সপ্ন ময়নাদ্বীপ। পদ্মা পাড়ের লোকজনদের ময়নাদ্বীপে নিয়ে যায় হোসেন মিঞা। সেখানে একক সাম্রাজ্যে বানাতে চায় সে। এই পদ্মাপাড়ের মানুষের জীবনে সংগ্রামে টিকে থাকা, আবার কারো নিঃস্ব হওয়ার মতো ঘটনা আছে এই উপন্যাসে।কুবেরের জীবন সংগ্রাম,কপিলার সাথে নিষিদ্ধ প্রেম,হোসেন মিঞার সপ্ন,গ্রামীণ মানুষের সরলতা,জটিলতা সবকিছু দিয়ে অসাধারণ রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সঞ্চয় হবে এই উপন্যাসটি পড়ে। উপন্যাসের আরো একটি উপভোগ্য বিষয় হলো এটির সংলাপ আঞ্চলিক ভাষায় রচিত, যা পাঠককে এনে দেবে এক রোমাঞ্চকর অনুভুতি।।

User

১৫ Mar, ২০২৩ - ৫:৪৫ PM

পদ্মা নদীর মাঝি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্তৃক রচিত এক শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।এই উপন্যাস কুবের ও কপিলার দুই চরিত্রের কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। কুবের একজন দারিদ্র মাঝি যে নাকি নদী হতে মাছ ধরে নিজের ও পরিবারের বরণপোষণ করে।খুব অভাবে তাদের দিন পতিত হতে থাকে।কুবেরের স্ত্রী মালা শারীরিক ভাবে অক্ষম।তাদের জীবন চলছিলই কোনো রকমে,তারেই মধ্যে তার শালিকা অথাৎ কপিলার আগমন গটে তাদের জীবনে।কুবের ও কপিলার মধ্যে এক আবেগ অনুভূতি মূলক সম্পর্কের সন্নিবেশ ঘঠে।একে অপরকে ভালোবাসতে শুরু করে।কুবের ও কপিলার মধ্যেকার ভালোবাসা সমাজের প্রচলিত সকল নিয়ম কানুনের ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়। মুসলমান সমাজে যেখানে নারীদের পর্দা করা বাঞ্ছীয়।সেখানে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তার পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাসের মাধ্যমে সকল সম্মুখে উপস্থাপন করেছে ভালোবাসার জাত,ধর্ম,সম্পর্ক সব কিছুর উর্ধ্বে,যা পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাসের মূল প্রাণকেন্দ্র।যেখানে আমাদের সমাজে ভালোবাসার সম্পর্ককে কুনজরে দেখা হয় সেখানে দুলাভাই ও শালিকার মধ্যে সংঘঠিত ভালোবাসা,যেন পাপ সমতুল্য, কিন্তু মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন, ভালোবাসা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র সম্পর্ক। যে সম্পর্কে ভালোবাসা নেই সেই সম্পর্ক সম্পর্ক নয়,যেন জাহান্নাম।ভালোবাসার মাধ্যমে দু মন এক হয় দু আত্মার সম্মিলন ঘটে।যেখানে এই দুইয়ের একটি নেই সেখানে ভালোবাসা শব্দটি ব্যবহার বৃথা।মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ভালোবাসার গুরুত্ব ঠিকই উপলদ্ধি করেছে।তাই সে তার পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাস দ্বারা এক নতুন ভালোবাসার দৃষ্টান্ত রেখেছেন।যা বাংলা উপন্যাসে এক অনন্য মাত্রা যোগ করেছে।মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তার এই উপন্যাসের জন্য পাঠক গনদের মাঝে নিজের এক অন্য রকম আবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। *ব্যক্তিগত মন্তব্যঃ-যাব তোর সঙ্গে উজানচরে, নিবি কি আমায় রে…? বিধাতার কাছে মনে মনে করি প্রার্থনা , তুই মানা করিস না রে…। বুকের মধ্যে নদীর ঢেউয়ের মতো দুলতে থাকা ভালোবাসায় …., ঠাওর হবে কি তোর নৌকাটির রে……? #প্রথমাডটকম_কথাপ্রকাশ_বই_রিভিউ_প্রতিযোগিতা।

অনন্যা

২৮ Feb, ২০২৩ - ১১:২৩ PM

বই পর্যালোচনা: " পদ্মানদীর মাঝি" উপন্যাসে কীর্তিনাশা পদ্মানদীর তীর সংলগ্ন কেতুপুর ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের মানুষের জীবন ও জীবিকার চালচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। উপন্যাসের নায়ক অর্থাৎ প্রধান চরিত্র হতদরিদ্র কুবের পদ্মান দীর মাঝি যিনি অন্যান্য সঙ্গীদের নিয়ে পদ্মা নদীতে মাছ ধরে। সংসারে তার স্ত্রী মালা, একমাত্র মেয়ে গোপী, তিন ছেলে ও বোনকে নিয়ে অতি কষ্টে তার জীবন চলে। মালা ছিলো খোড়া। গোপী আর কুবেরের বোন ঘরের কাজ সামলায়। স্বামীর বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে মালার বোন কপিলা এসে ঠাঁই নেয় কুবেরের দরিদ্র সংসারে। কপিলা তার রুপ যৌবন দিয়ে কুবেরকে আদিম আকর্ষণে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে চায়। গড়ে তুলতে চায় আদিম, অসংস্কৃত ও নিষিদ্ধ প্রেম। উপন্যাসটির অন্যতম চরিত্র হোসেন মিয়া। কেতুপুর এলাকায় দীনহীন ও কপর্দকশূন্য এই লোকটির হঠাৎ ভাগ্য পরিবর্তন ও জেলে মাঝিদের মাঝে পরম বন্ধুরুপে তার আবির্ভাব এক রহস্যের সৃষ্টি করে। গ্রামের অনেক পরিবার হঠাৎ করে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা জেলে মাঝিদের মনে আরো বেশি রহস্যের সৃষ্টি করে। তাছাড়া উপন্যাসের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো ধনঞ্জয়, শীতল, সিধু দাস, রাসু, বৈকুন্ঠ, অধর পীতম, হীরু প্রমুখ। ☆ ব্যক্তিগত মন্তব্য : বাস্তবিক অর্থে উপন্যাস হবে উপভোগ্য, আনন্দসঞ্চারী ও আনন্দদানকারী। ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মানদীর মাঝি এমন একটি উপন্যাসের বই যার মধ্যে রয়েছে এই বৈশিষ্ট্যগুলো। বইটি আমি যতবার পড়ি ততই যেন হারিয়ে যাই এর গভীরতায়। আমার কাছে উপন্যাসটির সার্বিক দিক এতটাই প্রাণবন্ত মনে হয় যেন আমি নিজে উপন্যাসের প্রতিটি জায়গায় উপস্থিত থেকে প্রতিটি ঘটনা নিজ চোখে অবলোকন করছি। কপিলা কুবেরের আদিম আকর্ষণে তাদের নিষিদ্ধ প্রেমের সম্মুখে এগিয়ে যাওয়া, হোসেন মিয়াকে ঘিরে জেলে মাঝিদের রহস্যের জাল বোনা, শোষক মহাজনদের শোষণের চিত্র সবমিলিয়ে উপন্যাসটির এই প্রাণবন্ত ভাব আমাকে বাধ্য করে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উল্টিয়ে সামনে যেতে এবং সম্পূর্ণ বইটি উপভোগ করতে। আমার মতে লেখকের সফলতা তখনই আসে যখন পাঠককে সে তার শব্দের মূর্ছনায় বইয়ের ভিতর হারিয়ে যেতে বাধ্য করতে পারে। এক্ষেত্রে পদ্মানদীর মাঝি বইটির লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তা পেরেছেন। কারণ লেখক জেলেপাড়ার মাঝি ও জেলেদের জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না,অভাব-অভিযোগ যা কিনা প্রকৃতিগতভাবে সেই জীবনধারার অবিচ্ছেদ্য অংশ তা এমন ভাবে চিত্রিত করেছেন মনে হয় হুবুহু জেলেদের জীবনচিত্রটাই ফুটিয়ে তুলেছেন। উপন্যাসের চরিত্রগুলোর মুখের আঞ্চলিক ভাষা উপন্যাসটিকে আরো বেশি রোমাঞ্চিত করেছে। একটি আঞ্চলিক উপন্যাসের সার্বিক দিক বিবেচনায় পদ্মানদীর মাঝি একটি সার্থক উপন্যাস। আমার পাঠক হৃদয় সার্থক এমন একটি চিরায়ত আঞ্চলিক উপন্যাস পড়তে পেরে। পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাসটির বড় একটি ভালো দিক হলো সহজ সরল ভাষায় যত্নসহকারে উপন্যাসটির উপস্থাপনা। তাছাড়া বইটিতে রয়েছে কৃত্রিমিতাবিবর্জিত আঞ্চলিক ভাষার সুষ্ঠু প্রয়োগ। উপন্যাসটিতে রয়েছে চিরায়ত বাংলার হতদরিদ্র মানুষের নিখুঁত জীবনচিত্র। তাদের অসহায়ত্বকে আমরা দূর থেকে কখনো উপলব্ধি করতে পারি না। কিন্তু লেখক বইটিকে এমনভাবে সাজিয়েছেন যাতে আমরা তা খুব সহজে কিন্তু গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারি। যে কোনো মহৎ উপন্যাসই পাঠকের হৃদয়কে এক মহৎ আনন্দে আপ্লুত করে, জীবন ও জগৎ সম্পর্কে মহৎ উপলব্ধিতে পরিপূর্ণ করে তোলে। পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাসটি সেরকমই একটি উপন্যাস। তাছাড়া উপন্যাসের নায়ক কুবের আর কপিলার আদিম আকর্ষিত প্রেমের শেষ পরিণতি কি হয়? রহস্যময় হোসেন মিয়ার রহস্যের উদঘাটন করতে পাঠককে অবশ্যই পড়তে হবে পদ্মানদীর মাঝি বইটি। প্রিয় উক্তি: ১."লঈশ্বর থাকেন ঐ গ্রামে, ভদ্র পল্লীতে- এখানে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া দুস্কর। ২. গরীবের মধ্যে সে গরীব, ছোটলোকের মধ্যে আরও বেশি ছোটলোক। " জেনে নিই: বইয়ের নাম : পদ্মানদীর মাঝি লেখক: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বইয়ের ধরন : আঞ্চলিক উপন্যাস #প্রথমাডটকম_কথাপ্রকাশ_বই_রিভিউ_প্রতিযোগিতা