শামসুর রাহমানের প্রিয় শহর ঢাকা। দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গা, কালরাত আর যুদ্ধ শেষে এই শহরে কবি দেখেছেন আলোকোজ্জ্বল ভোর। পুরান ঢাকার গলি থেকে নতুন ঢাকার রাজপথ,
কী নেই তাঁর কবিতায়? কবির গদ্যে ঢাকা এসেছে কখনও স্মৃতির দুয়ার খুলে, কখনোবা ভাবনার প্রসঙ্গ-অনুষঙ্গে। এই বইয়ে কবির চোখে ফুটে আছে এক অনুপম শহর।
বইয়ের বিবরণ
ঢাকা শামসুর রাহমানের কাছে নিজের প্রিয় শহর শুধু নয়, তাঁর অনিবার্য হৃৎস্পন্দনেরও নাম। এ শহর তাঁর অলস আড্ডা, কবিতা-কুঁড়ির উন্মোচন আর সংগ্রাম ও সংকল্পের শহর। দাঙ্গা, দুর্ভিক্ষ-দুর্বিপাকের কালরাত পেরিয়ে ঢাকায় তিনি দেখেন ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ-স্নাত বাঙালির আলোকোজ্জ্বল ভোর। পুরোনো ঢাকার অলিগলি থেকে নতুন ঢাকার রাজপথের অনন্য অভিষেক ঘটেছে রাহমানের কবিতায়। পাশাপাশি গদ্যরচনায় ঢাকা এসেছে কখনো স্মৃতির দুয়ার খুলে, কখনোবা ভাবনার প্রসঙ্গ-অনুষঙ্গে। শামসুর রাহমানের আমার ঢাকা এক সৃজনী চোখে দেখা শহর ঢাকার অন্তরঙ্গ পরিচয় তুলে ধরেছে।
- শিরোনাম আমার ঢাকা
- লেখক শামসুর রাহমান
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৩৫৯৫৩১
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

শামসুর রাহমান
জন্ম ২৩ অক্টোবর ১৯২৯। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (১৯৫৩)। পেশা ছিল সাংবাদিকতা; দৈনিক বাংলার সম্পাদক ছিলেন। গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধ-সমালোচনা-কলাম লিখেছেন, কিন্তু প্রধান অভিনিবেশ ছিল কবিতায়। বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ও পাঠকনন্দিত কবি। কাব্যগ্রন্েথর সংখ্যা প্রায় সত্তর। প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে (১৯৬০)। পেয়েছেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমী পুরস্কার, আদমজী পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কারসহ বেশ কিছু স্বীকৃতি। সাংবাদিকতার জন্য পেয়েছেন জাপানের মিতসুবিশি পদক। মৃত্যু ১৭ আগস্ট ২০০৬, ঢাকায়।