ফেনীতে জন্ম বেলাল চৌধুরীর। সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা আর ঢাকায় যৌবন কাটতে কাটতে চলে গেলেন কলকাতায়,
যে শহর ধীরে ধীরে মিশে গিয়েছিল তাঁর অস্থিমজ্জায়। বাউন্ডুলের মতো ঘুরে বেড়িয়েছেন কলকাতার লেখক-শিল্পী-বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে। আড্ডা দিয়েছেন বেশুমার। কলকাতা নিয়ে লেখা গদ্য আর কবিতায় উঠে এসেছে লেখকের নিজের জীবনের বর্ণিল অধ্যায়, আর এক ব্যস্ত মহানগর ও বিচিত্র মানুষের ছবি।
বইয়ের বিবরণ
কলকাতা বেলাল চৌধুরীর যৌবন-জীবনের প্রিয় শহরের নাম। তাঁর কলকাতা পর্ব নিয়ে কিংবদন্তির শেষ নেই। বাউন্ডুলে জীবনের একপর্যায়ে গত শতকের ষাটের দশকে হঠাৎ করেই পূর্ববঙ্গ থেকে কলকাতা গিয়ে সে শহরের অস্থিমজ্জায় মিশে গিয়েছিলেন তিনি। এক দশকের অবস্থানে হয়ে উঠেছেন সেখানকার সাহিত্য-সাংস্কৃতিক আখ্যানের প্রিয় চরিত্র। তবে কলকাতায় তিনি শুধু বেশুমার আড্ডাই দেননি, বোহিমিয়ান জীবনেই সম্পাদনা করেছেন তখনকার তরুণতম কবিদের মুখপত্র কৃত্তিবাস-এর কয়েকটি সংখ্যাও। তাঁর কলকাতার স্মৃতিচারণে উঠে এসেছে এক ব্যস্ত মহানগর ও তাঁর বিচিত্র সব মানুষের টুকরো টুকরো ছবি। সেই সঙ্গে কলকাতাকে নিয়ে লেখা কবিতায় ফুটে উঠেছে হারিয়ে যাওয়া সময়ের বিচূর্ণ ভাষ্য। আমার কলকাতা য় বেলাল চৌধুরীর নিজের জীবন এবং মহানগর কলকাতার গল্প এক বিশেষ রূপে ভাস্বর হয়ে উঠেছে।
- শিরোনাম আমার কলকাতা
- লেখক বেলাল চৌধুরী
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৩৫৯৫৪৮
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।

বেলাল চৌধুরী
জন্ম ১২ নভেম্বর ১৯৩৮, ফেনীর শর্শদীতে। নিজের সম্পর্কে তিনি বলতেন ‘স্বশিক্ষিত’। যুক্ত ছিলেন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে। উন্মূল-বাউন্ডুলে জীবনের প্রতি ছিল অদম্য আকর্ষণ। ১৯৬৩ সালে কলকাতা গমন এবং সেখানকার সাহিত্যজগতে প্রতিষ্ঠালাভ। ১৯৭৪-এ মায়ের আদেশে স্বদেশে ফিরে আসা। এরপর সাংবাদিকতা এবং সার্বক্ষণিক লেখালেখিই ছিল তাঁর পেশা ও নেশা। ভারত বিচিত্রা র সম্পাদক ও সাপ্তাহিক সচিত্র সন্ধানী র নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। কলকাতার প্রবাসজীবনে কৃত্তিবাস-এর কয়েকটি সংখ্যা সম্পাদনা করেছেন। কবিতার সমান্তরালে লিখেছেন নানা বিষয়ে বিস্তর গদ্য। অনুবাদেও ছিলেন সক্রিয়। পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার। মৃত্যু ২৪ এপ্রিল ২০১৮, ঢাকা।